ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও নারীদের জন্য সংরক্ষিত কামরা বরাদ্দসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ‘গাজীপুর প্যাসেঞ্জারস কমিউনিটি’র উদ্যোগে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে সকল আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও ট্রেনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত কামরা বরাদ্দ করাসহ ছয় দফা দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল এগারোটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত জংশনের প্লাটফর্মে স্থানীয় ট্রেনযাত্রীদের সংগঠন গাজীপুর প্যাসেঞ্জারস কমিউনিটি এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালান করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বলা হয়, জয়দেবপুরে জংশনে সকল আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি দিতে হবে, তুরাগ ট্রেন দুইটি মহিলা কামরা বরাদ্দসহ ১৫ কামরা উন্নীত করতে হবে, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন টঙ্গী ও তেজগাঁও স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিতে হবে, বিশেষ মর্যাদায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তুরাগ ট্রেন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে এবং টাঙ্গাইল কমিউটার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের মধ্যে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে, জয়দেবপুর জংশনে আন্ত:নগর ট্রেনের আসন সংখ্যা ৪০০ থেকে বৃদ্ধি করে দুই হাজার করতে হবে এবং জয়দেবপুর জংশনকে প্রথম শ্রেণির আধুনিক সুবিধা সম্বলিত জংশনে উন্নীতকরণের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী আলিম উদ্দীন বুদ্দিন, গাজীপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান দিলরুবা ফাইজিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাদী শামীম, গাজীপুর প্যাসেঞ্জারস কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালেদ মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখসহ গাজীপুর প্যাসেঞ্জারস কমিউনিটির অসংখ্য সদস্য এবং ট্রেন যাত্রীরা।
প্যাসেঞ্জারস কমিউনিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. সামশুল হক বলেন, আয়ের দিক থেকে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে থাকা সত্ত্বেও এটি নানা দিক থেকে সুবিধা বঞ্চিত এবং অব্যবস্থাপনার শিকার। প্রায় অর্ধকোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত শিল্পসমৃদ্ধ গাজীপুর জেলার প্রতিদিন প্রায় ২০/২৫ হাজার যাত্রী এ জংশন দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়ত করে থাকেন। জংশনটি দিয়ে প্রতিদিন দেশের চারটি বিভাগের (ময়ময়সিংহ, রাজশাহী,খুলনা ও রংপুর) আন্ত:নগরসহ ৭২টি বিভিন্ন ট্রেন যাতায়ত করে থাকে। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এ জংশনে নয়টি আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য : এর গত ৮ ফেব্রুয়ারি রোটারী ক্লাব অব গাজীপুরের আয়োজনে জেলা শহরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে করে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে সকল আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও জংশনটির আধুনিকায়নসহ আট দফা দাবি জানিয়েছিল জেলার বিশিষ্টজনরা।