প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের দুই সদস্যকে শ্রীপুর থেকে আটক করেছে র্যাব-১
গাজীপুর কণ্ঠ : প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের দুই সদস্যকে শ্রীপুর উপজেলার যোগীরসিট এলাকা থেকে আটক করেছে র্যাব-১ এর সদস্যরা।
বৃহষ্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন যোগীরসিট গ্রামের মো. আবুল হাসেমের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম(২৫) ও মো. শুকুর আলীর ছেলে মো. আকরাম হোসেন (২১)।
শুক্রবার সকালে র্যাব-১ স্পেশালাইজ কোম্পানি পোড়াবাড়ি ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে যোগীরসীট বাজার এলাকায় অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। সেখান থেকে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সক্রিয় দুই সদস্যকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। মোবাইল ফোনে হোয়াটস অ্যাপ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা ২০১৭ ও ২০১৮ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট, সেকেন্ডারী স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র Md Rafiqul Islam নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে সংগ্রহ করতো। আবার কখনো নিজেরাই অন্যান্য বছরের প্রশ্নপত্র জোড়া লাগিয়ে মূল প্রশ্নপত্র তৈরী করত। পরে সেগুলো ফেইসবুকে আপলোড দিয়ে সুযোগ সন্ধানী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আদায় করত।
র্যাব আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে রফিকুল ইসলাম জানিয়েছে সে গাজীপুরের ভাওয়াল বদলে আলম কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। পাশাপাশি সে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে। কোচিং সেন্টারের শিক্ষকতা করার নামে ২০১৭ সালে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি খুলে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করে সে। ২০১৭ সালের পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় ৮-১০ টি বিষয়ের প্রশ্ন বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা আয় করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আকরাম জানিয়েছে, ২০১৮ সালে মো. রফিকুল ইসলামের ফেসবুক আইডি থেকে অনলাইনে প্রশ্নফাঁসের কাজে যুক্ত হয়। ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সে ১০ টি বিষয়ের প্রশ্নের পোষ্ট দেয়।
তাদের সাথে থাকা অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানায় র্যাব।