শিমুলতলী এলাকায় কলেজছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : মহানগরের শিমুলতলী এলাকায় এক কলেজছাত্রী (১৮) দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের দু’জনকে শ্রীপুর এবং ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, শ্রীপুর উপজেলার জয়নাবাজার এলাকার আবুল কালামের ছেলে রানা (২৫) এবং ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানা এলাকার আনন্দ (২২)। তারা মহানগরের চতরবাজার এলাকায় বসবাস করতেন। তারা পেশায় গাড়িচালক বলে জানা গেছে। অপর অভিযুক্ত ধর্ষক চতরবাজার এলাকার নয়ন মিয়ার ছেলে নাঈম (১৯) পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে জেলা শহরের শ্মশানঘাট এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি স্থানীয় একটি কলেজে লেখাপড়া করতেন। অভিযুক্ত নাঈমও তার সঙ্গে লেখাপড়া করতেন এবং তারা ৮/৯ মাস যাবৎ পরিচিত। বৃহস্পতিবার বিকেলে নাঈম ভিকটিম ওই ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে চতরবাজার বটতলা যেতে বলেন। ভিকটিম সেখানে গিয়ে নাঈম, আনন্দ ও রানাকে দেখতে পান। কিছুক্ষণ পরে আনন্দ ও রানা সেখান থেকে চলে যায়।
পরে নাঈম ভিকটিমকে নিয়ে একটি অটোরিকশা করে শিমুলতলী এলাকায় যান। এসময় আনন্দ ভিকটিমের মোবাইলে ফোন দেয়। তখন ভিকটিম ফোনটি নাঈমকে দিলে নাইম ফোনে কথা বলে। পরে নাঈম ভয়ের কিছু নেই আশ্বস্ত করে ভিকটিমকে সেখান থেকে ওই এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান। এ সময় ঘরে ঢুকতে না চাইলে নাইম তাকে জোরপূর্বক ঘরের ভেতর নিয়ে যান। ভিকটিম ঘরে গিয়ে আনন্দ ও রানাকে দেখতে পান। এ সময় জোরপূর্বক এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই তিনজন ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরে নাইম ভিকটিমকে অটোস্ট্যান্ডে নিয়ে আটোযোগে বাড়ি চলে যেতে বলেন।
ভিকটিম রাস্তার পাশে বসে কান্নাকাটি করতে থাকলে আশপাশের লোকজন বিষয়টি জেনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানান। পরে কাউন্সিলর থানায় খবর দিলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে জিএমপির সদর থানায় মামলা করেছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূইয়া জানান, অভিযান চালিয়ে শ্রীপুর এবং ময়মনসিংহ থেকে অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাঈমকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।