দাবিকৃত ২০ লাখ টাকা না পেয়ে পোশাক ব্যবসায়ীর নামে মাদকের মামলা দিল পুলিশ!
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : এক পোশাক ব্যবসায়ীকে আটকের পর পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করে না পেয়ে ৫৫০ পিস ইয়াবা দিয়ে ‘মাদকের মিথ্যা মামলায়’ ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে জিএমপি’র টঙ্গী পূর্ব থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
পারভেজ নামের আটক ওই ব্যবসায়ীকে মাদক মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে টঙ্গীর গাজীবাড়ি এলাকা থেকে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী পারভেজকে আটক করেন পিএসআই রাজিব হোসেন ও ওএসআই মেজবাহ উদ্দিন।
অভিযোগ উঠেছে, ওইসময় তারা পারভেজের কাছে কোনও মাদক না পাওয়া সত্ত্বেও পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন।
পারভেজের মা পাপিয়া বেগম জানান, বুধবার রাতে পারভেজ স্থানীয় আবেদা হাসপাতালে মেডিকেল রিপোর্ট ও ওষুধ আনতে বাসা থেকে বের হয়। পথিমধ্যে পুলিশের সোর্স শামীম ওরফে কটু শামীমের মাধ্যমে পিএসআই রাজিব হোসেন ও ওএসআই মেজবাহ উদ্দিন পারভেজকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে থানায় গেলে পুলিশ কর্মকর্তা রাজিব প্রথমে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে মাদক ও হত্যা মামলায় চালানের হুমকি দেন। রাতভর দরকষাকষির একপর্যায়ে তিন লাখ টাকা দাবি করেন পিএসআই রাজিব।’
তিনি আরো বলেন, ‘এতো টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পিএসআই রাজিব সকাল দশটার মধ্যে ১ লাখ টাকা দিলে ছেড়ে দিবে বলে জানায়। সকালে বিভিন্ন জায়গা থেকে ৬০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে থানায় গেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন এখন কিছু করার নাই। মামলা হয়ে গেছে। পরে ৫৫০ পিস ইয়াবার মিথ্যা মামলা দিয়ে পারভেজকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।’ পরিবারের দাবি, পারভেজের বিরুদ্ধে গাজীপুরের কোন থানায় মাদকের মামলা নেই।
তবে পিএসআই রাজিব হোসেন টাকা দাবির বিষয়টি অস্বিকার করে ওসির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। পারভেজের পরিবারের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. কামাল হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘পারভেজকে ৫৫০ পিস ইয়াবার মামলায় চালান দেওয়া হয়েছে।’