টঙ্গীতে ডাকাতদলের হামলার শিকার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্পাদক: ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : টঙ্গীতে সংঘবদ্ধ সড়ক ডাকাতদলের কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছন ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির(ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান। সশস্ত্র ডাকাতদল জ্যামে আটকা পড়া কবির আহমেদের ব্যক্তিগত গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, আইফোন, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ সর্বস্ব লুটে নেয়। এসময় গাড়িতে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানও ছিলেন। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কবির আহমেদ আহত হয়েছেন।
তাৎক্ষনিক জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসিকে জানানোর পরও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন কবির আহমেদ খান।
কবির আহমেদ জানান, জ্যামের ভয়ে বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে প্রাইভেটকারে তিনি গ্রামের বাড়ি ত্রিশালে যাচ্ছিলেন। রাত ১টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর গাজীপুরা বাঁশ পট্টির কাছে পৌছলে ৫-৬ জনের একটি ডাকাতদল রাম দা ও চাপাতি দিয়ে প্রথমেই তার গাড়ির ড্রাইভিং ছিটের পেছনের জানালার গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। এসময় ডাকাতরা ফিল্মি কায়দায় তার দুই শিশু সন্তানের গলায় দাঁড়ালো অস্ত্র ঠেকিয়ে তাদেরকে সব কিছু দিয়ে দিতে বলে। এসময় তার স্ত্রী সন্তানদের প্রাণ রক্ষায় একে একে সব স্বর্ণালঙ্কার খুলে দিতে বাধ্য হন। এভাবে ডাকাতরা স্বর্ণের ৩টি রিং ও এক জোড়া চুড়ি নেওয়ার পর ভ্যানেটি ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সব কিছু লুটে নেয়। এসময় ঘটনাস্থলের বিপরীত পাশে চেকপোস্টের পুলিশ নির্লিপ্ত ভূমিকায় ছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনাটি সাথে সাথে জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসিকে জানানোর পরও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে কবির আহমেদ খান অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, খবর পেয়েই আমি পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু জ্যামের কারণে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। পুলিশ যথন ঘটনাস্থলে পৌছায় তখন জ্যাম ছেড়ে দেওয়ায় তারা (কবির আহমেদ) বড়বাড়ি পর্যন্ত চলে যান। ডাকাতদের ধরার জন্য বড় ধরণের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।