পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের পাইলটকে ভারতীয় মনে করে পিটিয়ে খুন

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নিজের দেশের মানুষদের হাতে গণধোলাই খেয়ে মরতে হল পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের পাইলটকে। শাহাজউদ্দিন নামে ওই পাক উইং কমান্ডারকে ভুলবশত ভারতীয় মনে করেন পাকিস্তানিরা। কোনও কিছু বোঝার আগে শাহাজউদ্দিনকে গণধোলাই দিতে শুরু করেন। পরে তাদের ভুল ভাঙে৷ কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মারা যান পাক বায়ুসেনার এই উইং কমান্ডার। এমনই দাবি করা হয়েছে বেশ কিছু মিডিয়ায়।

ফার্স্টপোস্ট জানিয়েছে, ভারতের আকাশসীমা উলঙ্ঘন করে দেশে ফিরে যাচ্ছিল পাক এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলি। তারই একটি বিমানের ককপিটে ছিলেন শাহাজউদ্দিন। সেই সময় মিগ-২১ এ করে পাক যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া করেন ভারতের উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। শাহাজউদ্দিনের বিমানটিকে গুলি করে মাটিতে নামানোর চেষ্টা করেন। পরে অভিনন্দনের বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেওয়ায় তাঁকে পাকিস্তানের মাটিতে অবতরণ করতে হয়। সেই সময় তিনি ধরা পড়ে যান পাক সেনার হাতে।

অন্যদিকে গুলি খেয়ে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের ক্ষতি হওয়া স্বত্ত্বেও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একটি গ্রামে বিমানটিকে নিরাপদভাবে মাটিতে অবতরণ করান শাহাজউদ্দিন। এরপর বিমান থেকে বেরিয়ে আসার পর স্থানীয়রা তাঁকে ভারতীয় মনে করেন। তাঁকে দেখে প্রচন্ড মারমুখী হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। শাহাজউদ্দিনের দিকে তেড়ে আসেন এবং গণধোলাই দেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি। যদিও পাকিস্তান এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

অভিনন্দনের মতো শাহাজউদ্দিনও মিলিটারি পরিবারের সন্তান৷ তাঁর বাবা ওয়াসিম উদ্দিন পাক বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল ছিলেন। তিনিও এফ-১৬ ও মিরাজের মতো যুদ্ধবিমান চালিয়েছেন। শাহাজউদ্দিনকে নিয়ে প্রথম খবরটি ফাঁস করেন লন্ডনের এক আইনজীবী খালিদ উমর। শাহাজউদ্দিনের পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র থেকে খবরটি পান তিনি।

এর আগে পাকিস্তানি সরকার জানিয়েছিল, এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের পিছু নিতে নিতে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েন। দুই পাইলটকে তারা নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। পর ভুল সংশোধন করে জানায়, দু’জন নয় একজন তাদের হেফাজতে আছে। তবে দ্বিতীয়জনের পরিচয় নিয়ে কিছু জানাতে চাননি তারা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button