সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা হত্যা: প্রধান আসামি সাইফুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
রোববার রাতে ১০টা ১মিনিটে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানান, হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান আহম্মেদ।
এ সময় কারাগারে উপস্থিত ছিলেন- কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা, জেল সুপার শাহজাহান আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সাইফুল ইসলাম মামুন বাগেরহাটের স্মরণখোলা থানার মধ্য খোন্তাকাটা এলাকার মৃত. আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানের কূটনৈতিক এলাকার ১২০ নম্বর রোডের ১৯/বি নম্বর বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
খালাফকে হত্যার অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর আসামি সাইফুল ইসলাম মামুন, আল আমিন, রফিকুল ইসলাম খোকন, আকবর আলী লালু ও সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিচার শেষে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪।
গত বছরের ১ নভেম্বর মামুনের মৃত্যুদণ্ডাদেশসহ হাইকোর্টের পুরো রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওই রায়ের ফলে অন্য তিন আসামি আল আমিন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রয়েছে।
দণ্ড ঘোষণার পর থেকে সাইফুল কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি ছিলেন।
৫ আসামির মধ্যে পলাতক সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহমেদকে হাইকোর্টের মতোই সর্বোচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আল আমিন পটুয়াখালীর হাজিখালী গ্রামের ফারুক ঘরামীর ছেলে, লালু শরিয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার গোয়ালকোয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে এবং খোকন ময়মনসিংহ নগরের নাটকঘর বাইলেনের আব্দুস সালামের ছেলে।
খালাসপ্রাপ্ত সেলিম ভোলার শশীভূষণ থানার উত্তর চরমঙ্গল গ্রামের সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরীর ছেলে।