বালাকোটের প্রশিক্ষণ শিবিরে বিমানহানার আগের মুহূর্তে ৩০০ মোবাইল সক্রিয় ছিল!

গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (এনটিআরও)-এর তথ্যের উপর ভিত্তি করেই কি বালাকোট বিমান হামলায় ২৫০ থেকে ৩০০ জইশ জঙ্গির মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়?

সরকারি ভাবে এখন পর্যন্ত বালাকোট বিমান হানায় ঠিক কত জন জইশ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ভারতের বিদেশ সচিব বিজয় গোখেল শুধু বলেছিলেন, ‘‘অনেক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে জইশের বেশ কয়েক জন শীর্ষ কমান্ডারও রয়েছেন।” কিন্তু বিদেশ সচিবের বিবৃতির অনেক আগে থেকেই ভারতের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা থেকে শুরু করে টেলিভিশন চ্যানেল সেনা থেকে শুরু করে ভারত সরকারের বিভিন্ন সূত্রকে উদ্ধৃত করে মৃতের সংখ্যা ২৫০ থেকে ৩০০ দাবি করে।

কিন্তু, তার পরেও বায়ুসেনার এয়ার ভাইস মার্শাল আর কে এম কপূর মৃতের সংখ্যা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। সোমবার বায়ুসেনা প্রধান বীরেন্দ্র সিংহ ধনোয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মৃতের সংখ্যা গোনা বায়ুসেনার কাজ নয়।

বালাকোটে বায়ুসেনার হানায় ঠিক কত জন জইশ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে পরস্পর বিরোধী একের পর এক তথ্য উঠে আসতে থাকে। যখন একাধিক বিদেশি নামী সংবাদপত্র বা সংবাদ সংস্থা দাবি করে বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান থেকে ছোড়া বিমানে বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, তখন ইতালীয় সাংবাদিক ফ্রেঞ্চেস্কা মোরিনি রোম থেকে লেখা একটি প্রতিবেদনে দাবি করেন ৩৫ জন জইশ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তিনি তাঁর স্থানীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করেছিলেন।

এ দিন সেই পরস্পর বিরোধী তথ্যে নতুনতম সংযোজন সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর একটি প্রতিবেদন। সেখানে সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, এনটিআরও বিমান হানার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বালাকোটের ওই জইশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩০০টি সক্রিয় মোবাইল সংযোগের হদিশ পেয়েছিল। সেখান থেকেই গোয়েন্দারা মনে করছেন বিমান হানার সময় ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কমপক্ষে ৩০০ জন জইশ জঙ্গি উপস্থিত ছিল।

তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ যাঁরা জইশ বা লস্করের প্রশিক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, তাঁরা ওই যুক্তি মানতে নারাজ। কারণ তাঁরা দাবি করেছেন, ফিদায়েঁ বা জিহাদি প্রশিক্ষণের সময় কোনও শিক্ষার্থীকে মোবাইল ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button