কালীগঞ্জ পৌর নির্বাচন: শিক্ষা ও অর্থে এগিয়ে স্বতন্ত্র, ব্যবসায়ী আ.লীগ, মামলায় এগিয়ে বিএনপি প্রার্থী

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদাপূর্ণ কালীগঞ্জ পৌরসভা পেশাজীবী অধ্যুষিত এলাকা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি’র নির্বাচনী এলাকাও এটি।
বিগত দিনে এবং বর্তমানে সরকার ও প্রশাসনের উপর মহলেও ছিলেন এবং আছেন কালীগঞ্জের কৃতি সন্তানরা। ফলে এ গুরুত্ব বিবেচনায় আলাদা মূল্যায়ন রয়েছে কালীগঞ্জ পৌরসভার। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এই পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এবার কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী চার জন। এরমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর এক প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান পৌর মেয়র। তাদের চারজনই রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হলফনামায় নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য, যোগ্যতা এবং সম্পদের হিসেব দিয়েছেন।
হলফনামায় দেওয়া তথ্যমতে এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মো. চাঁন মিয়া ছাড়া অন্য কোন প্রার্থী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের কোন মোবাইল ফোনও নেই! যদিও অন্য ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ঠিকই।
হলফনামা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চার প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস. এম রবীন হোসেন সম্পদ ও অর্থকড়িতে পিছিয়ে থাকলেও শিক্ষায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। মামলায় এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী ফরিদ আহমেদ মৃধা হলফনামায় নিজের কোন পেশা এবং আয় নেই বলে উল্লেখ করেছেন।
ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মো. চাঁন মিয়া ‘অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন’।
তবে শিক্ষায় ও অর্থ-সম্পদ এবং নির্বাচনী ব্যয়ের দিক থেকে এগিয়ে থাকা বর্তমান মেয়র মো. লুৎফুর রহমান স্বতন্ত্র প্রাথী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিলকৃত হলফনামার তথ্যমতে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস. এম রবীন হোসেনের শিক্ষাগত যোগ্যতা বি,এ পাস। কোন মামলা নেই। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। মেসার্স এমএস এন্টারপ্রাইজ নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসা থেকে বছরে আয় দেখিয়েছেন ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। বাড়ি ভাড়া থেকে বছরে আয় ৪৫ হাজার।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার এবং স্ত্রীর নগদ ও ব্যাংকে কোন টাকা নেই। স্ত্রীর স্বর্ণালঙ্কার আছে ১০ ভরি। এছাড়াও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে টিভি এবং ফ্রিজ। আসবাবপত্রের মধ্যে রয়েছে খাট, সুকেস এবং ওয়ারড্রব।
স্থাবর সম্পদ বলতে নিজ নামে ৪ শতাংশ অকৃষি জমি আছে। ১ তলা দুই রুম বিশিষ্ট একটি এবং টিনসেড ২ রুমের একটি বাড়ি রয়েছে। তবে ব্যাংকে দায়-দেনা নেই তার।
তিনি নির্বাচনী ব্যয় দেখিয়েছেন মোট ২ লাখ টাকা। এই ব্যয় মেটাবেন দুই ভাইয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার করে মোট ১ লাখ টাকা ধার করে। আর এক লাখ টাকা নিজের ব্যবসা থেকে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী ফরিদ আহমেদ মৃধা বিভিন্ন ধারার ১২ মামলা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মামলার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ। নিজের কোন পেশা এবং আয় নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
তবে আয়কর রিটার্নের তহবিল মতে ১৬ লাখ টাকা ব্যাংকে রয়েছে। স্ত্রীর নামে নগদ ১০ হাজার টাকা থাকলেও তার নিজের নগদ কোন টাকা নেই। স্ত্রীর কোন স্বর্ণালঙ্কার নেই, তবে তার নিজের ১৫ তোলা স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ফ্রিজ ১ টি, টিভি ১ টি এবং ওয়াশিং মেশিন।
আসবাবপত্রের মধ্যে আলমারি রয়েছে ২ টি কাঠের ২ টি স্টিলের। স্থাবর সম্পদ বলতে ১৮.২৫ শতক অকৃষি জমির মালিক তিনি। টিনসেড ৬ রুমের একটি বিল্ডিং রয়েছে। ব্যাংকে দায়-দেনা নেই এই প্রার্থীর।
তিনি মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্বাচনী ব্যয় দেখিয়েছেন। এই ব্যয় মেটাবেন তিনি নিজস্ব তহবিল এবং প্রবাসী মেয়ে ও আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধার কর।
ডেনমার্ক প্রবাসী মেয়ে ও তার স্বামীর কাছ থেকে ধার করবেন ১ লাখ টাকা এবং ঢাকার বাসিন্দা তার ভায়রা ভাই-এর কাছ থেকে ধার নেবেন ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও এক লাখ টাকা নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মো. চাঁন মিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন’। পেশা দেখিয়েছিন ব্যবসা। তার বাৎসরিক আয় বলতে ব্যবসা থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অস্থাবর বলতে নিজ নামে নগদ আছে ৮০ হাজার টাকা। ব্যাংকে জামা আছে ৫০ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নগদ আছে ২০ হাজার টাকা। তার স্বর্ণালঙ্কার আছে ১৫ তোলা এবং স্ত্রীর ৫ তোলা।
তার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে মোবাইল, ফ্রিজ এবং টিভি। স্ত্রীর আছে মোবাইল। আসবাবপত্রের মধ্যে খাট, আলমারি, সুকেস ও চেয়ার-টেবিল রয়েছে তার নিজের এবং ওয়ারড্রব রয়েছে স্ত্রীর।
স্থাবর সম্পদ বলতে জমি নেই। তবে ঘর আছে ২ টি! ব্যাংক ঋণ নেই, মামলাও নেই।
তিনি নিজের ব্যবসা থেকে মোট ৫০ হাজার টাকা নির্বাচনী ব্যয় মেটাবেন।
স্বতন্ত্র প্রাথী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া বর্তমান মেয়র মো. লুৎফুর রহমান শিক্ষায় ও অর্থ-সম্পদ এবং নির্বাচনী ব্যয়ের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এমএসি পাশ এই প্রাথী পেশায় ঠিকাদারি ব্যবসায়ী। ব্যবসা থেকে বছরে আয় দেখিয়েছেন ১৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। পৌরসভার মেয়র হিসেবে বছরে সম্মানিত ভাতা থেকে আয় হয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা আছে ৪০ লাখ টাকা এবং ব্যাংকে জমা আছে আরো ১০ লাখ টাকা। তবে তার স্ত্রীর নগদ ও ব্যাংকে কোন টাকা নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
তার একটি মোটরসাইকেলে রয়েছে। নিজের স্বর্ণালঙ্কার না থাকলেও স্ত্রীর আছে ১৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার। এছাড়াও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর মধ্যে ফ্রিজ, টিভি ও ওভেন এবং আসবাবপত্রের মধ্যে খাট, টেবিল, সোফা, আলমারি ও শোকেস রয়েছে তার।
স্থাবর সম্পদ বলতে নিজ মালিকানায় ৪১৫.১০ শতাংশ অকৃষি জমি আছে। বাড়ি আছে দুইটি। তবে ব্যাংকে দায়-দেনা নেই তার। এছাড়াও ২০১৩ সালে একটি মামলা ছিলো। ওই মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি।
স্বতন্ত্র প্রাথী হয়ে তিনি সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় করবেন। যা মেটাবেন নিজের ব্যবসা থেকে।
হলফনামার তথ্য দিয়ে কার কী?
নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে হলফনামার মাধ্যমে কমিশনকে সম্পদের বিবরণসহ আট ধরনের তথ্য দিতে হয়। কিন্তু এই তথ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন কী করে? ভুল বা অসত্য তথ্য দিলে কি কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জনা যায়, ‘‘নির্বাচন কমিশন নিজে কোনো তথ্য যাচাই-বাছাই করে না। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করলে তা খতিয়ে দেখে। নির্বাচন কমিশন তথ্য পর্যবেক্ষণ করে। প্রয়োজন হলে তদন্তও করেন।”
”হলফনামার উদ্দেশ্য হলো এলাকার ভোটাররা যেন প্রার্থীদের সম্পর্কে জানতে পারেন। তারা যেন ভোটের সিদ্ধান্ত নিতে এসব তথ্য কাজে লাগাতে পারেন। যোগ্য প্রার্থী বাছাই করতে পারেন।”
”তবে নির্বাচন কমিশন নিজ উদ্যোগে এসব তথ্য যাচাই বা অনুসন্ধান করে দেখে না। প্রার্থীরা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে আদালতের সামনে এসব তথ্য ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশন তাদের দেয়া তথ্য সত্য বলে ধরে নেন। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করলে আর সেটা যদি নির্বাচন সংক্রান্ত হয় তাহলে কমিশন সেটা দেখে। নির্বাচনের পরেও ইলেকশন ট্রাইব্যুনালে এই অভিযোগ করা যায়।”
”তবে দুর্নীতি, সম্পদের বিবরণীতে অসত্য তথ্য দিলে সেটা সরকারের অন্যকোনো দায়িত্বশীল সংস্থাও যেকোনো সময় দেখতে পারে। বিশেষ করে সম্পদ, আয়, এর উৎস এগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন দেখতে পারে।
দুর্নীতি দমন কমিশন প্রার্থীদের এইসব হলফনামার তথ্য পর্যবেক্ষণে করে। হলফনামা ধরে কেউ যদি কোনো অভিযোগ করে তাহলে দুদক তদন্ত করে।”
কালীগঞ্জ পৌর নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) বিকেলে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর। গত ৪ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়েছে। কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের জন্য মেয়র পদে চারজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে এক নরীসহ ৩৪ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ এবং আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) বিরতিহীনভাবে ভোট নেওয়া হবে। পৌরসভায় নয়টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে।
ভোটার তালিকা অনুযায়ী কালীগঞ্জ পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৬ হাজার ৬৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৮ হাজার ৩২১ জন ও মহিলা ভোটার ১৮ হাজার ৩১৯ জন। আর ১৭টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য : ”২০১৩ সালের ২০ জুন অনুষ্ঠিত কালীগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে প্রথমে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট নেওয়ার কথা থাকলেও পরে ব্যালট পেপার ও বাক্সের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়। ওই নির্বাচনে শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিল।”
জানা যায়, ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কালীগঞ্জ পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়।
এরপর ২০১৩ সালের ২০ জুন কালীগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নির্বাচন সম্পন্ন হয়। ওই নির্বাচনে মেয়র পদে দুজন, নয়টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫২ জন ও তিনজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সে সময় পৌরসভার মোট ভোটারসংখ্যা ছিলো ৩০ হাজার ৪৯৬ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৪০১ জন ও নারী ১৫ হাজার ৯৫ জন।
পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের ১৫টি কেন্দ্রের ৮০টি বুথে ভোট নেওয়া হয়েছিল।
কালীগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছিলো বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী লুৎফর রহমান। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ১৬ হাজার ২৪৪ ভোট পেয়েছিলো। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আমজাদ হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলো আট হাজার ৪০৬ ভোট।
আরো জানতে….
কালীগঞ্জে ৪ মেয়র প্রার্থীসহ ৪৯ জনের মনোনয়ন দাখিল
খসড়া তালিকা অনুযায়ী কালীগঞ্জ পৌরসভার মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৩৫ জন, ভোট কেন্দ্র ১৭ টি
কালীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন এস এম রবীন হোসেন
কালীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন ২৮ ফেব্রুয়ারি: ভোট ইভিএমে, থাকবে না সাধারণ ছুটি