পূবাইলে ঝড়ে ‘ভেঙ্গে গেছে’ রেলগেইট, অরক্ষিত রেলক্রসিং, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : মহানগরের পূবাইল রেলস্টেশন সংলগ্ন ঢাকা-ভৈরব রেল লাইনের মধ্যে পূবাইল বাজার সড়কে একটি রেলক্রসিং রয়েছে। ব্যস্ত এই ক্রসিংয়ের উত্তর দিকের রেল গেইটটি সম্প্রতি ঝড়ের সময় ভেঙ্গে যায়। এরপর থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়েই রেল লাইনের উপর দিয়ে চলাচল করছে।

এতে করে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

gazipurkontho

শনিবার (১০ এপ্রিল) পূবাইল বাজার সড়কে গিয়ে দেখা যায়, রেলক্রসিং দিয়ে মানুষ চলাচল করছে কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই। এদিকওদিক না তাকিয়ে রেলক্রসিং অতিক্রম করছে রিকশা-ভ্যান, অটোরিকশা, ছোট-বড় ট্রাকসহ নানা ধরনের যানবাহন।

যানবাহন চালকরা বলেন, “দুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে, কিন্তু কী করব? সবসময় দ্রুত যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকি। ট্রেন আসছে কিনা তা দেখার কথা মনে থাকে না। অরক্ষিত এই রেল ক্রসিং অতিক্রম করে দুর্ঘটনার আশংকা নিয়েই যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে।”

স্থানীয়রা বলেন, ”পূবাইল বাজার সড়কের এই রেলক্রসিং-এ থাকা দুইটি রেল গেইটের মধ্যে সম্প্রতি একটি গেইট ভেঙ্গে গেছে। এতে ঝুঁকি নিয়েই এই রেলক্রসিং পারাপার হয়ে পার্শ্ববর্তী পূবাইল বাজার, পূবাইল ভূমি অফিস, পূবাইল উচ্চ বিদ্যালয়, ছোট কয়ের-বড় কয়ের, খাতিয়া এবং কুমুনসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই রেলক্রসিংয়ের ব্যস্ততাও থাকে বেশিরভাগ সময়। এই ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন ও পথচারী চলাচল করে।”

স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ডাবল লেনের এই রেলসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঢাকার সঙ্গে চট্রগাম, সিলেট, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর, মেইল, লোকাল এবং কনটেইনার ও মালবাহী প্রায় ৪০-৫০ টি ট্রেন যাতায়াত করে। লকডাউনের কারনে বর্তমানে শুধু কনটেইনার ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করছে।

গেইটম্যান রাব্বি হোসেন বলেন, ”গত শনিবার (৩ এপ্রিল)রাতে ঝড়ের সময় উত্তর দিকের রেল গেইটটি ভেঙ্গে যায়। দু’পাশের গেইট দু’টি একসঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তাই বর্তমানে ট্রেন চলাচলের সময় গেইট বন্ধ করা যাচ্ছে না। সড়কে দাঁড়িয়ে সিগনাল দিয়ে গাড়ি থামাতে হয়। একসাথে দুইপাশের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হয়ে যায়। ভেঙ্গে যাওয়া গেইটটি দ্রুত মেরামত করার জন্য বৃহস্পতিবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।”

পূবাইল রেলস্টেশনের সিনিয়র মাস্টার দিলীপ চন্দ্র দাশ বলেন, ”ভেঙ্গে যাওয়া গেইটটি মেরামত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনানো হয়েছে। দ্রুতই গেইটটি মেরামত করা হবে। করোনার এই সময়ে বর্তমানে এই রেলক্রসিং অতিক্রম করে কনটেইনার ও মামামাল পরিবহনের প্রায় ৮-১০ টি ট্রেন চলাচল করে। স্বাভাবিক সময়ে এই পথে প্রায় ৪০ টির মতো ট্রেন চলাচল করে থাকে।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button