‘কথিত বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত, তুলে নেওয়ার অভিযোগ স্বজনদের
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : মহানগরের কাশিমপুরের ভবানপুর এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘কথিত বন্দুকযুদ্ধে’ মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
রোববার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে স্বজনদের অভিযোগ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গত ২৬ মার্চ রাতে নিহত জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়েছিল।
নিহত জাহাঙ্গীর কাশিমপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ এলাকার মৃত. সুন্দর আলীর ছেলে।
গোলাগুলির সময় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই ইজাজুল হক, এএসআই আলী আকবর ও কনস্টেবল আব্দুস সোবাহান আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশানার(ডিবি) মো. মনজুর রহমান বন্দুকযুদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গত ২৬ মার্চ রাতে নিহত জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। তারা বলেন আটকের পর থেকে নিখোঁজে ছিল জাহাঙ্গীর। ২৬মার্চ আটকের পর আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে তার কোন সন্ধান পাইনি। নিখোঁজের বিষয়ে থানায় কোন সাধারণ ডাইরি করেনি বলে জানায় তার স্বজনরা। তারা আরো বলেন, কিছুদিন আগে মাদক ব্যবসায়ী ছেড়ে দিয়েছিল সে। এর আগেও পুলিশ তাকে বিভিন্ন সময় আটক করেছিল।
তবে নিখোঁজের বিষয়ে পুলিশের কাছে কোন তথ্য ছিল না বলে জানান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশানার (ডিবি) মো. মনজুর রহমান।
বন্দুকযুদ্ধের বিষয়ে মো. মনজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহানগরের কাশিমপুর থানাধীন ভবানীপুর এলাকায় মাদকের অভিযানে যায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। এ সময় ওই এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ঘরের পাশে অবস্থান নেওয়া জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। ডিবি পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে এবং অন্যরা পালিয়ে যায়।
পরে গোয়েন্দা পুলিশ জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, নিহত জাহাঙ্গীরের পকেট থেকে ৩০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ৬টি মাদক মামলাসহ ৮টি মামলা রয়েছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষন সাহা জানান, তার বুকে ২টি গুলির ক্ষত রয়েছে। তাকে মৃতাবস্থায় এ হাসপাতালে আনা হয়েছিল।