টঙ্গীতে জলাশয় ভরাট, ভবন নির্মাণের অনুমোদন বাতিল
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কোনো ধরনের নিয়ম নীতির তোয়ক্কা না করেই চলছে জলাশয় ভরাট। নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। এ চিত্র রাজধানীসহ দেশজুড়ে। যা কি না ভবিষ্যতের জন্য মহামারি। এতে ভূমিকম্প ঝুঁকি ও আগুনের মত ভয়াবহতার হুমকিতে পড়তে পারে অবৈধভাবে জলাশয় ভরাট করে নির্মাণ করা ভবনগুলো। তেমনি বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে গাজীপুরের টঙ্গী থানার সাতাইশ, দারাইল ও গুশুলিয়া মৌজার বিভিন্ন এলাকায় শত কোটি টাকার খাস জমি ও জলাশয় ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাটি ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এ ধরনের ভবন নির্মাণে বিপক্ষে জিরো টলারেন্স নীতি নেয়। সে কারণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে গাজীপুরের টঙ্গীতে জলাশয় ভরাট করে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন ও শেড নির্মাণের প্লান অনুমোদন না দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গৃহায়ণ ও গণপূর্তের নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে- যেগুলো অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেগুলোও বাতিল করা হবে। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক নির্দেশের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা দিয়েছে।
সম্প্রতি টঙ্গীর সাতাইশ মৌজার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করা হয়, জনৈক কামরুজ্জামান ছায়াকুঞ্জ আবাসিক প্রকল্পের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জলাশয় ভরাট করছে। পাশাপাশি সেখানে ধীরে ধীরে বিভিন্ন কোম্পানির নামে বহুতল ভবন ও শেড নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব নির্মাণে আইন অনুযায়ী যেসব অনুমতি নেয়া ও বিধি বিধান অনুসরণ করতে হয়, তা মানা হচ্ছে না বলেও প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বিশেষ করে পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ নির্মাণ চলছে বলেও তাতে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া এতে করে স্থানীয় জনসাধারণ যে দুর্ভোগে পড়তে যাচ্ছে তার বিস্তারিত তুলে ধরে, আইনের বিধিবিধান না মেনেই রাজউকের কর্মকর্তারা জলাশয় ভরাট করা ওইসব জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষ থেকে জলাশয় ভরাটকারী ও অবৈধ দখলদার হিসেবে দু’জনকে চিহ্নিত করে মামলা দেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে দায়ের করা ওই মামলায় পরিবেশ অধিদফতর টঙ্গীর সাতাইশ, দারাইল ও গুশুলিয়া মৌজায় শত কোটি টাকার খাস জমি ও জলাশয় ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি ভরাটের অভিযোগ আনা হয়।