অগ্নিঝুঁকিতে গাজীপুরের ১১০ হাসপাতাল

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : শিল্প অধুষ্যিত গাজীপুর ঢাকার নিকটবর্তী ঘনবসতিপূর্ণ একটি জেলা। পরিসংখ্যান দপ্তরের মতে জেলটির জনসংখ্যা ৪০ লাখের বেশি। গত এক দশকে জেলায় দেড় শতাধিক বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। তবে চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী এসব প্রতিষ্ঠান নিজেই অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭সালে দপ্তরটি পরিদর্শন শেষে জেলায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের ১১০টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টাকে অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। এসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে বেশ কয়েকটিকে খুবই অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। পরে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা সংক্রান্ত ত্রুটি চিহ্নিত করে নোটিস দেয় দপ্তরটি। তবে নোটিস পাওয়া হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পক্ষ থেকে ত্রুটি নিরসনে তেমন কোন ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৮সালে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ সেইসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে পুনরায় নোটিস দেওয়া হয়। তবে এতেও ঘুম ভাঙেনি প্রতিষ্ঠানগুলোর। অবশেষে চলতি বছর ফের ১১০টি অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ এবং খুবই অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে পর্যায়ক্রমে নোটিস পাঠাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর মধ্যে গাজীপুর মহানগরীতে আছে ৫২টি। এছাড়া শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ উপজেলাটির ২৬টি, কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ২৫টি, কালিগঞ্জের সাতটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক জানান, ‘তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লাইসেন্স নিয়েছেন। কোনো ত্রুটি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জমান জানান, অগ্নিঝুঁকিতে থাকা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করতে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। শিগগিরই ঝুঁকিপূর্ণ এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হবে।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড.দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, প্রথম দফায় অগ্নিঝুঁকিতে থাকা হাসপাতালগুলো চিহ্নিত করে ‘অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ’ ব্যানার টানানো হচ্ছে। পরবর্তীতে এসব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ভবন ঝুঁকিমুক্ত করতে কিছুদিন সময় দেওয়া হবে। এরপরেও ভবন অগ্নিঝুঁকিমুক্ত না করা হলে ভ্রম্যমাণ আদালতের অভিযানসহ প্রায়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সূত্র: খোলা কাগজ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button