ভারতের অরুণাচল সীমান্তে গড়ে ওঠা চীনা গ্রাম আসলে সেনা শিবির!

গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় প্রদেশ অরুণাচলের কাছে বিতর্কিত ভূমিতে স্থায়ী সেনা শিবির স্থাপন করেছে চীন। এমনটাই দাবি করেছেন প্রদেশটির আপার সুবনসিরি জেলার অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার ডিজে বোরাহ।

অরুণাচলের কাছেই চীন একটি জনবসতি বা গ্রাম গড়ে তুলেছে বলে পেন্টাগনের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল। ডিজে বোরাহকে গত বছর দায়িত্ব দেয়ার পর এক পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি জানিয়েছেন, পেন্টাগনের উল্লেখ করা জনবসতি আসলে চীনা সেনাবাহিনীর একটি স্থায়ী সেনা শিবির। ওই গ্রামে কোনো বেসামরিক লোকজন অবস্থান করছে বলে তার মনে হয়নি। তার ভাষায়, আমরা বিতর্কিত এলাকায় একাধিক বড় স্থাপনা দেখতে পেয়েছি। মনে হচ্ছিল সেগুলো সামরিক কাজে ব্যবহার করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৬২ সালে যখন চীনা সেনারা এই অঞ্চল দখলে নেয়, তখন সেখানে তাদের মাত্র কয়েকটি চৌকি ছিল।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, চীনা সেনাবাহিনী যেখানে স্থাপনা নির্মাণ করেছে, সেখানে আগে ভারতের সেনাচৌকি ছিল।
তবে ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের পর সেটি সরিয়ে নেয়া হয়। সে সময় ওই চৌকিটি ‘মাজা ক্যাম্প’ নামে পরিচিত ছিল। অঞ্চলটিকে বিতর্কিত ঘোষণার পর ক্যাম্পটি ভারতের ভূখণ্ডের চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে সরিয়ে আনা হয়। এখন বিতর্কিত এলাকার যেসব অংশে নতুন স্থাপনা তৈরি হচ্ছে তা তাগিন সম্প্রদায়ের মালিকানায় ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া খবরে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলের সম্পূর্ণ জমির মালিকানায় সম্প্রদায়টির একচেটিয়া অধিকার ছিল। ১৯১৪ সালে ম্যাকমোহন লাইনের মাধ্যমে তিব্বত ও বৃটিশ শাসিত ভারতকে আলাদা করা হয়। এসময় এই লাইনের মাধ্যমে নাগা সম্প্রদায়ের মতো তাগিন সম্প্রদায়ও বিভক্ত হয়ে যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button