একাধিক মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়া এএসআই সোহেল রানার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা : একাধিক মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠার পর অবশেষে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোঃ সোহেল রানা’র বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
জিএমপি সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোঃ সোহেল রানা’র বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে (মামলা নাম্বার ৩৫/২০২২)। বিভাগীয় মামলা তদন্তের জন্য সম্প্রতি চিঠি দিয়ে সাক্ষীদের সাক্ষ্য দেয়ার জন্য জিএমপি সদর দপ্তরে তলব করা হয়।
জানা গেছে, গত ১ জুলাই সন্ধ্যায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার পাজুলিয়া এলাকা থেকে নাজমুল (৩৫) ও বাবু (৩৪) নামে দুই যুবককে আটক করেছিল সদর থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা। সে সময় তাদের কাছ থেকে ৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে তাদের থানায় না নিয়ে দক্ষিণ ছায়াবীথি এলাকায় একটি টিনশেড ঘরে নিয়ে যায়। পরে একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে রাত ১২টার দিকে ছেড়ে দেয়া এএসআই সোহেল রানা। সে সময় উদ্ধার করা ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো এএসআই সোহেল রানা রেখে দিয়েছিল।
এছাড়াও এর আগে পাজুলিয়া এলাকায় দুপুর বেলা বিপুলের দোকানে স্পিড কিনতে যায় নাজমুল। ওই সময় দোকানের সামনে থেকে নাজমুলকে আটক করে এএসআই সোহেল রানা। সে সময় তার কাছ থেকে ৩ পুড়িয়া গাঁজা উদ্ধার করে। পরে তাকে হাতকড়া লাগিয়ে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখে। একপর্যায়ে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে নাজমুলকে ছেড়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের এএসআই সোহেল রানার বিরুদ্ধে। পরবর্তী সে সময় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। এছাড়াও এএসআই সোহেল রানাকে দর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
ঘটনার পর ভিকটিম নাজমুল এ বিষয় স্বীকার করে বলেছিলেন, দুইবার এএসআই সোহেল রানা আমাকে আটক করে। পরে ওই দুই ঘটনায় আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
সে সময় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা বলেছিলেন, নাজমুলকে আটক করলেও তার ভিডিও স্টেটমেন্ট নিয়ে তাকে ছেড়েছি। এসব আমাকে বলে লাভ নাই, পারলে প্রমাণ বের করেন।
আরো জানতে……….
পরকীয়া, জুয়া থেকে অর্থ আদায়, বেআইনি আটক: পুলিশের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দণ্ড