কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ভিকারুননিসার শিক্ষিকা হাসনা হেনা
গাজীপুর কণ্ঠ : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাতী শাখার শিক্ষিকা হাসনা হেনা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
সোমবার দুপুর ১২টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। বিকাল সাড়ে ৪টায় তিনি মগবাজারের ডাক্তার গলি বাসায় পৌঁছেন।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো: শাহজাহান জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে শিক্ষিকা হাসনা হেনার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছে। পরে তা যাচাই বাছাই শেষে দুপুর ১২টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ভিকারুননিসার সিনিয়র শিক্ষিকা মুসতারী সুলতানা বলেন, রোববার হাসনা হেনা আপার জামিন আদালত মঞ্জুর করেন। তাকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
রোববার পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পান হাসনা হেনা। ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ এ জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরার একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় ভিকারুননিসার নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।
ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত ১০টায় রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণিশিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন অরিত্রির বাবা।
মামলার এজাহারে অরিত্রির আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তার বাবা দিলীপ অধিকারী উল্লেখ করেন, অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। গত রোববার সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়।
সোমবার স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এই অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি।