চাকরি ছাড়ার হিড়িক, টুইটার অফিস সাময়িক বন্ধ

গাজীপুর কণ্ঠ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বিশ্বের শীর্ষ ধনীর হাতে পড়া টুইটার আরও বড় গাড্ডায় পড়েছে; কর্মীদের চাকরি ছাড়ার হিড়িকের মধ্যে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে এই সোশাল মিডিয়া কোম্পানির সব অফিস ভবন।

বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার টুইটার কর্মীদের পাঠানো এক বার্তায় কোম্পানির তরফ থেকে বলা হয়েছে,তাদের সব অফিস ভবন বন্ধের এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

অফিস আবার খুলবে আগামী সোমবার। তার আগ পর্যন্ত সবার অফিস ব্যাজ অকার্যকর থাকবে। অর্থাৎ, তারা অফিসে বা টুইটারের ইন্টারনাল নেটওয়ার্ক সিস্টেমে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না।

অফিস বন্ধ রাখার কোনো কারণ কর্মীদের পাঠানো ওই বার্তায় বলা হয়নি। তবে এমন এক সময় ওই বার্তা পাঠানো হয়েছে, যখন কর্মীদের একটি বড় অংশ চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর আসছে।

টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক গত দুই সপ্তাহে ঝড়ের গতিতে নানা পরিবর্তন এনেছেন, তাতে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের বরখাস্ত করার পাশাপাশি অর্ধেক কর্মীকে ইতোমধ্যে তিনি ছাঁটাই করেছেন।

এরপর এ সপ্তাহেই টুইটারের সকল কর্মীকে তিনি একটি মেইল পাঠিয়েছেন, যার মূল বক্তব্য হল, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা আর চাপ মেনে নিয়ে তারা টুইটারে কাজ করবেন, না কি চাকরি ছেড়ে দেবেন, এ বিষয়ে তাদের এক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সিএনবিসি জানিয়েছে, ওই ইমেইল পাওয়ার পর বৃহস্পতিবারই শত শত কর্মী পদত্যাগপত্র পাঠানো শুরু করেন। স্যালুট ইমোজি আর বিদায়ী বার্তায় সয়লাব হয়ে যায় কোম্পানির ইন্টারনাল চ্যাট গ্রুপগুলো।

ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, পদত্যাগী কর্মীদের দলে বিপুল সংখ্যক প্রকৌশলীও আছেন। সে কারণেই চার দিনের জন্য টুইটারের সব অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কর্মীদের পাঠানো বার্তায় টুইটার কর্তৃপক্ষ বলেছে, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যম বা অন্য কোথাও কোম্পানির গোপনীয় তথ্য নিয়ে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকুন এবং কোম্পানির নিয়ম মেনে চলুন।”

বিবিসি জানিয়েছে, এসব বিষয়ে কথা বলতে তারা টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পায়নি।

তবে টেসলা বস মাস্ক গত কয়েক ঘণ্টায় কয়েকটি টুইট করেছেন টুইটার নিয়ে। কোম্পানির লোক কমিয়ে লাভ বাড়ানোর চেষ্টার যৌক্তিকতা তিনি বোঝাতে চেয়েছেন ইংগিতপূর্ণ বাক্যে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button