কালীগঞ্জে লাইসেন্স বিহীন লরি চাপায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু, অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা!

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কালীগঞ্জে লাইসেন্স বিহীন লরি চাপায় জাকারিয়া দেওয়ান (৩৩) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তাকে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে তুমুলিয়া ইউনিয়নের বর্তুল এলাকায় বিএমসি লবণ ফ্যাক্টরি সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত জাকারিয়া দেওয়ান অলুয়া এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি সরবারহের ব্যবসা করতেন।
অভিযুক্ত লরি চালক একই এলাকার আব্দুল বাতেনের ছেলে আল আমিন (৩৫)।
জানা গেছে, জাকারিয়া দেওয়ান বৃহস্পতিবার দুপুর পৌঁণে ২টার দিকে তুমুলিয়া-কালিঙ্গা (বেড়িবাঁধ) সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে তুমুলিয়া ইউনিয়নের বর্তুল গ্রামে থাকা বিএমসি লবণ ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এলাকা অতিক্রম করছিল। একই সময়ে হঠাৎ করেই আল আমিন মাটি বোঝাই লরি দিয়ে মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা জাকারিয়াকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের চাচা শফি উদ্দিন দেওয়ান ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে লরি চালক আল আমিন ও জাকারিয়া দেওয়ানের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। সে সময় জাকারিয়া দেওয়ানকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিল লরি চালক আল আমিন। এর কিছু সময় পরেই মাটি বোঝাই লরি দিয়ে পরিকল্পিতভাবে জাকারিয়া দেওয়ানকে চাপা দিয়ে হত্যা করে আল আমিন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তারা আরো বলেন, কোন ধরনের বৈধ কাগজপত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে এসব লরি দিয়ে এলাকার কৃষি জমির মাটি স্থানীয় বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করা হয়। অবৈধভাবে চলাচল করা এসব লরি বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম খাঁন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, দুপুর পৌণে ২টার দিকে জাকারিয়া দেওয়ান মোটরসাইকেল চালিয়ে বর্তুল এলাকায় থাকা বিএমসি লবণ ফ্যাক্টরি এলাকা অতিক্রম করছিল। সে সময় মাটি বোঝাই একটি লরি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা জাকারিয়াকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই মাজহারুল ইসলাম খাঁন আরো বলেন, খবর পেয়ে বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। লরি চালক আল আমিন পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।