প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গাজীপুরে নির্মাণ হচ্ছে ‘শেখ কামাল সুইমিং কমপ্লেক্স’

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : গাজীপুর মহানগরের চা–বাগান এলাকায় এক একর জমিতে নির্মিত হচ্ছে শেখ কামাল সুইমিং কমপ্লেক্স। আধুনিক সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন সুইমিং কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে মাটি ভরাটের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে সুইমিং কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা আছে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের নাম ‘মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা ও ভোলার চরফ্যাশনে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন এবং গাজীপুর জেলা সদরে সুইমিংপুল নির্মাণ’।

গত মাসে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল তাঁর ফেসবুকে প্রকল্পের বেশ কয়েকটি থ্রিডি ছবি দিয়ে লেখেন, প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন গাজীপুরের শেখ কামাল সুইমিং কমপ্লেক্স। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের চা–বাগান এলাকায় জেলা প্রশাসকের ডাকবাংলোর সামনে সুইমিং কমপ্লেক্সটি তৈরি হচ্ছে। সেখানে পাঁচ লেনের সুইমিং পুল, সাঁতারু ড্রেসিং রুম, শৌচাগার, কার্যালয়, কনফারেন্স কক্ষ ও শেখ কামালের একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। সুইমিং কমপ্লেক্সের পাশেই আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে গাজীপুর টেনিস ক্লাব নির্মাণ করা হচ্ছে। টেনিস ক্লাবের নির্মাণকাজ শেষের দিকে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রকৌশলী সুকুমার রায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে ২০২১ সালে। নানা জটিলতায় এত দিন কাজ শুরু করা হয়নি। জমিটি নিচু থাকায় গত ঈদের পর মাটি ভরাটের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আশা করছেন, ২০২৪ সালের ৩০ জুনের আগেই সুইমিং কমপ্লেক্সের কাজ শেষ করতে পারবেন। কাজটি করছে ‘শরীফ অ্যান্ড সন্স’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের রাস্তা দিয়ে কিছুদূর দক্ষিণে গেলে অফিসার্স ক্লাব। ক্লাবের পাশে সরকারি এক একর জমি পড়ে ছিল। সেখানে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। ভরাটের কাজ শেষ হলেই ভিত্তিপ্রস্তরের কাজ শুরু হবে।

গাজীপুরের বাসিন্দা ও ক্রীড়াবিদ হারুন অর রশিদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, গাজীপুরের জন্য আধুনিক মানের একটি সুইমিং কমপ্লেক্স খুবই জরুরি ছিল। সেখানে তাঁদের ছেলেমেয়েরা সাঁতার শিখতে পারবে। সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। অনেক দিন ধরেই তাঁরা সুইমিং কমপ্লেক্সের কথা শুনছেন; কিন্তু কাজ শুরু হয়নি। অবশেষে কাজ শুরু হওয়ায় তাঁরা খুশি।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা রাজধানীর পাশে থাকলেও নানা জটিলতায় গাজীপুরে আন্তর্জাতিক মানের কোনো স্টেডিয়াম নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন গাজীপুর টেনিস ক্লাব নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে সুইমিং কমপ্লেক্সের কাজ শুরু হয়েছে। এটি শেষ হলে গাজীপুরে ছেলেমেয়েরা প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সাঁতার শেখার সুযোগও পাবে।’

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শেখ কামাল সুইমিং কমপ্লেক্সে আধুনিক সব সুবিধা থাকছে। যাঁরা সাঁতার জানেন না, তাঁদের জন্য সুইমিং কমপ্লেক্সে সাঁতার শেখার ব্যবস্থা থাকছে। এ ছাড়া যারা দেশ-বিদেশে সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চান, তাঁরা সেখানে সাঁতার শিখতে পারবেন। এ ছাড়া সাঁতার প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হবে।

 

সূত্র: প্রথম আলো

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button