খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের ৪ সদস্যকে গুলি করে হত্যা

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফের ৪ জনকে গুলি করে হত্যার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

পানছড়ি থানার ওসি শফিউল আজম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চার জন নিহত হওয়ার ঘটনা জানিয়েছেন। আমরা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

পানছড়ির লোগাঙয়ের অনিল পাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে সোমবার রাতে ওই হামলা হয় বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।

“মঙ্গলবার সেখানে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনে যোগ দিতে ওই চার জন সেখানে অবস্থান করছিলেন। রাতে তাদের উপর অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়,” বলেন এইপিডিএফের এই নেতা।

নিহতরা হলেন- পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পিসিপির সাবেক কেন্দ্ৰীয় সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা।

এ ঘটনায় ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন অংগ্য মারমা।

নিহতদের মধ্যে বিপুল চাকমার বাড়ি চেঙ্গী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের করল্যাছড়ি বুদ্ধধন পাড়ায়; সুনীল ত্রিপুরার বাড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রোয়াজা হেডম্যান পাড়ায়; লিটন চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দ্রোনচার্য্য কার্বারি পাড়ায়; রুহিন বিকাশ ত্রিপুরার বাড়ি পানছড়ির উপল্টাছড়ি ইউনিয়নের পদ্মিনী পাড়ায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংগঠনিক কাজে বিপুল চাকমাসহ ৭ জন নেতাকর্মী সোমবার লোগাঙ এলাকায় ছিলেন। তারা রাতে অনিল পাড়া গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রাত আনুমানিক ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সশস্ত্র দুর্বৃত্ত দল ওই বাড়িতে হানা চারজনকে হত্যা করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।

এ ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন ইউপিডিএফ নেতা অংগ্য মারমা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সভাপতি শ্যামল চাকমা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, পাহাড়ে বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে, তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button