কালীগঞ্জে হাসপাতালের সামনেই মেয়াদোত্তীর্ণ ও স্যাম্পল ঔষুধ বিক্রি, ইউএনও’র অভিযান

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশদ্বারে একটি ফার্মেসিতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছিলো মেয়াদোত্তীর্ণ, অনিবন্ধিত ও স্যাম্পল (নমুনা) ঔষুধ।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ওষুধ জব্দ এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদ।

জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশদ্বারে থাকা ‘যুবরাজ মেডিসিন কর্ণারে’ দীর্ঘদিন যাবৎ মেয়াদোত্তীর্ণ, অনিবন্ধিত ও স্যাম্পল (নমুনা) ঔষুধ মজুদ এবং বিক্রি করা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বাদল শিকদারকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ওই দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদ। সে সময় দুই বস্তা মেয়াদোত্তীর্ণ, অনিবন্ধিত ও স্যাম্পল (নমুনা) ঔষুধ জব্দ করা হয়। এছাড়াও ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩’ এর ৪০ এর (খ) এবং (গ) ধারা অনুযায়ী যুবরাজ মেডিসিন কর্ণারের মালিক বালীগাঁও এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে সুমন মিয়াকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

স্যাম্পল ঔষুধ হলো উৎপাদনকারী কোম্পানির পক্ষ থেকে যে ঔষুধ বাজারে ছাড়ার আগে ট্রায়ালের উদ্দেশ্যে চিকিৎসকদের দেওয়া হয়। স্যাম্পল ঔষুধের ক্ষেত্রে সরকারি রাজস্ব দিতে হয় না। বিনামূল্যে দেওয়া এসব ঔষুধ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। কিন্তু অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ ধরনের ঔষুধ বিক্রি করে থাকেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জেলা ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বাদল শিকদার।

Related Articles

Back to top button