পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে বাংলাদেশ

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার প্রক্রিয়া সহজ করেছে বাংলাদেশ। এতদিন ভিসা দেয়ার সময় পাকিস্তানের মিশন প্রধানদের জন্য ঢাকা থেকে ছাড়পত্র নেয়ার প্রয়োজনীয়তা ছিল, বর্তমান সরকার সেটি তুলে নিয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে ‘লাহোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এলসিসিআই)’ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সাথে আলাপকালে পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল হুসাইন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভিসা দেওয়ার সময় পাকিস্তানের মিশন প্রধানদের জন্য ঢাকা থেকে ছাড়পত্রের প্রয়োজনীয়তা তুলে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্য দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোই হবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তিনি এই লক্ষ্য অর্জনে এলসিসিআই-এর সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে ইকবাল হুসাইন বলেন, বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নত করতে আগ্রহী, যা গত এক দশকে সন্তোষজনক ছিল না। তার কথায়, ১৮ কোটি জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য ভোক্তা বাজারের প্রতিনিধিত্ব করে যা পাকিস্তানের জন্য সম্ভাবনাময়।
বাংলাদেশের এই কূটনীতিক আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা অনেকাংশে কাজে লাগানো হয়নি এবং পাকিস্তানের এটিকে কাজে লাগানোর ক্ষমতা রয়েছে। তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন।
হাইকমিশনার বলেন, বর্তমান প্রজন্মের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা এবং পারস্পরিক বাণিজ্য ও সহযোগিতার প্রতিবন্ধকতা দূর করা উভয় দেশেরই দায়িত্ব। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে এলসিসিআই-এর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
এলসিসিআই সভাপতি মিয়া আবুজার শাদ জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, “এই সময়ে বাংলাদেশে পাকিস্তানের রপ্তানির মূল্য ছিল ৬৬১ মিলিয়ন ডলার, অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে আমদানি হয়েছে ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি বেড়ে ৩১৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে আমদানি হয়েছে ৩১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।”