গাজা পুনর্নির্মাণে সময় লাগবে ৪০ বছর, খরচ হবে ৮০ বিলিয়ন ডলার

গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর স্বাভাবিক গতিতে সেখানে অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হবে। তবে গাজাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে ৪০ বছর, আর খরচ হবে ৮০ বিলিয়ন ডলার। খবর আরব নিউজের।
উপত্যকাটিতে সহায়তা সংস্থাগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। ১৫ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধ ছিটমহলটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। দালানকোঠাগুলো এখন ধ্বংসাবশেষের ঢিবিতে পরিণত হয়েছে। বড় বড় রাস্তা, পানি ও বিদ্যুতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। বেশিরভাগ হাসপাতাল গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
রোববার যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরই কেবল ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ জানা যাবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে গেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা থেকে বাদ যায়নি ২৩ লাখ বাসিন্দার এই উপত্যকার মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থী শিবিরও।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইসরায়েলি নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, ইসরায়েলের বর্বর হামলার কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজাবাসী চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। যুদ্ধের ফলে গাজায় ৫০ মিলিয়ন টন ধ্বংসস্তূপ জমেছে, যা মিশরের গিজার গ্রেট পিরামিডের আকারের প্রায় ১২ গুণ বড়। ১০০টিরও বেশি ট্রাক যদি পুরো সময় কাজ করে এটি পরিষ্কার করতে ১৫ বছর সময় লাগবে।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের নেতৃত্বে সাহায্য প্রদানকারীদের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা শেল্টার ক্লাস্টার-এর কর্মকর্তা কোরি শের বলেছেন, আমি ক্ষতির পরিমাণের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ছিটমহল বা একটি দেশ বা জনগণের জন্য কোনো সমান্তরাল ভাবতে পারি না।