বিকাশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন এক গ্রাহক। ওই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা ‘নাই’ হয়ে গেছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকের ভাষ্য বিকাশের কাস্টমার কেয়ারে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তারা কোনো সমাধান দিতে পারেনি।

রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন এস এম ফারুক। পেশাগত কারণে মোবাইল ফোনে বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করেন তিনি। গত ২ জুলাই সকালে গাজীপুরের একটি নম্বর থেকে বিকাশে ফারুকের নম্বরে ১০ হাজার টাকা আসে। বিকালে তিনি দেখেন, তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই।

এ বিষয়ে ফারুক বিকাশের বাংলামটর কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করেন। কাস্টমার কেয়ারের স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, গত দুই জুলাই সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে গাজীপুরের একটি গ্রামীণ নাম্বার থেকে বিকাশে ফারুকের রবির নাম্বারে ১০ হাজার টাকা আসে। দুপুর একটা সাত মিনিটে অজ্ঞাত ব্যক্তির গ্রামীণ নাম্বারে সব টাকা স্থানান্তর হয়ে যায়।

এস এম ফারুক জানান, তার বিকাশ অ্যাকাউন্টের টাকা কীভাবে অজ্ঞাত ব্যক্তির নম্বরে স্থানান্তরিত হয়েছে তিনি কিছুই জানেন না। তার অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কারও কাছে নেই, কেউ তাকে প্রলোভন দেখিয়ে কোনো কলও দেয়নি।

এদিকে কাস্টমার কেয়ারের সরবরাহ করা নাম্বারে কল করা হলে নিজেকে পঞ্চগড়ের হারুন উর রশীদ পরিচয় দিয়ে একজন জানান, তার কাছে কোনো টাকা আসেনি। ফারুকের দাবি, বিকাশের কাস্টমার কেয়ারে একাধিকবার গেলেও কোনো সমাধান দিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। এখন আইনি পদক্ষেপ ছাড়া বিকল্প উপায় দেখছেন না তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিকাশের কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, এমনটা হওয়া অসম্ভব। আমরা যে প্লাটফর্মে কাজ করি সেটা ডিজিটাল প্লাটফর্ম। এখানে ভুলের কোনো অবকাশ নেই। তিনি বলেন, ওই গ্রাহক ভুল করে কাউকে টাকা পাঠাতে পারেন। কিংবা কারও কাছে উনার পিন নম্বর থাকতে পারে। পিন নম্বর না দিলে কোনোভাবেই টাকা স্থানান্তর হবে না। এখানে সব কিছু রেকর্ড হয়ে থাকে, অনুসন্ধান করলে তথ্য পাওয়া যাবে।

 

সূত্র: খোলা কাগজ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button