ধাপে ধাপে হবে অনলাইন পত্রিকার নিবন্ধন: তথ্যমন্ত্রী

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : অনলাইন পত্রিকার নিবন্ধন কার্যক্রম ২০১৫ সালে শুরু হলেও তা এখনো সম্পন্ন হয়নি। তবে বর্তমানে নিবন্ধনের কার্যক্রম সম্পন্ন করার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ধাপে ধাপে অনলাইন পত্রিকাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে শুরু হয় অনলাইন পত্রিকার নিবন্ধন কার্যক্রম। এজন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে বলা হয়। জমা দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে অনলাইন পত্রিকার নিবন্ধন দেয়া হবে বলে সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়। প্রথম দিকে দুই হাজার আবেদন জমা পড়ে তথ্য অধিদফতরে।

এরপর কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ চলতি মাসের ১৫ জুলাই পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করার শেষ দিন ধার্য ছিল। সবমিলিয়ে অনলাইন পত্রিকা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য প্রায় আট হাজার আবেদন জমা পড়েছে তথ্য অধিদফতরে।

জানা গেছে, এতগুলো অনলাইন পত্রিকার তথ্য যাচাই-বাছাই করা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই ধাপে ধাপে পত্রিকাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে আমরা কিছু অনলাইন পত্রিকাকে নিবন্ধিত করবো। বাকি যেগুলো থাকবে সেগুলো পরে ধাপে-ধাপে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।

জানা গেছে, প্রথম দিকে যেসব আবেদন জমা দেয়া হয়েছিল সেসব অনলাইন পত্রিকার তথ্য যাচাই-বাছাই কার্যক্রম প্রায় শেষ হয়ে গেছে। আর শেষের দিকে যেসব আবেদন জমা দেয়া হয়েছে সেগুলোর তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম চলছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তথ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৮ হাজার অনলাইন পত্রিকা অনেক বেশি হয়ে যায়। তাই তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে গড়মিল পেলেই নিবন্ধন থেকে বাদ পড়বে অনেক আবেদন।

এর আগে অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধনের জন্য যেসব আবেদন জমা পড়েছে তার মধ্যে সব অনুমোদন নাও পেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী।

সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী বলেছিলেন, তিন বছর আগে যে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছিল সেগুলোসহ সব মিলিয়ে আট হাজারের বেশি দরখাস্ত জমা পড়েছে। আট হাজার অনলাইন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু যৌক্তিক, সে প্রসঙ্গটি অবশ্যই আসে। যেগুলো সত্যিকার অর্থে অনলাইন গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করছে তাদের আমরা দ্রুত রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনবো। আর যেগুলোর ব্যাপারে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে সেগুলোকে তো যাচাই-বাছাই করতে হবেই।

 

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button