প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করার পর অবশেষে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে এন্ড গার্লস্ কলেজের অধ্যক্ষ। প্রতিবাদলিপিতে সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে একটি কুচক্রি মহলের উস্কানিতে প্রলুব্দ হয়ে একের পর এক সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।
গত ১৭ জুন দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত ‘ভাগ্যধনের এমনই কপাল যতই দুর্নীতি ততই পদোন্নতি’ গত ৭ জুলাই ‘টঙ্গী পাইলট স্কুলে শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত’ গত ৯ জুলাই ‘নয়া দিগন্তের রিপোর্টে টঙ্গীতে তোলপাড়; অভিভাবকদের কোপানোর হুমকি এডহক কমিটির সভাপতির !’ গত ১০ জুলাই ‘টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষের কান্ড ! ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না’ গত ১৫ জুলাই ‘টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় অভিভাবকদেরকে হয়রানি’ গত ১৬ জুলাই ‘জেএসসিতে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে ফি আদায়; টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ডগার্লস কলেজে বাধ্যতামূলক কোচিং’ এবং গত ১৯ জুলাই ‘ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ’ শীর্ষক সংবাদগুলোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন মিয়া।
এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, প্রকাশিত সংবাদগুলো মনগড়া, উদ্দেশ্য প্রনোদিত, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্যের উপর ভিত্তি করে উপস্থাপিত হয়েছে, যা টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের দীর্ঘ দিনের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান ও অবকাঠামোর উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রি মহল তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের উস্কানিতে একের পর এক সংবাদ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫ হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষার মান ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়নকে ব্যাহত করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : অভিভাবকদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এসব সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) প্রতিষ্ঠানটিতে তদন্ত শুরু করেছে এ বিষয়টিও সংবাদ সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। মাউশি ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবরে দেয়া অভিযোগ এবং একাধিক অভিভাবকের সরাসরি মৌখিক অভিযোগ ও মোবাইল ফোনেও একাধিক অভিভাবকের সাথে কথা বলে প্রকাশিত সংবাদগুলোতে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এমনকি আলোচিত সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষ কোচিং ফি এক হাজার টাকা থেকে তিন শত টাকায় কমিয়ে আনায় এবং কোচিং ঐচ্ছিক করায় অনেক অভিভাবক সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদেরকে ফোনে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।