আ.লীগের কেন্দ্র কমিটির সাথে জিএমপি পুলিশ কর্মকর্তাদের গোপন বৈঠক!

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : জিএমপির টঙ্গী পূর্ব থানায় আওয়ামীলীগের কেন্দ্র কমিটির সদস্যদের সাথে পুলিশ গোপন বৈঠক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার বিকেল পৌনে ৩টায়র দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার হলরুমে জিএমপি কমিশনারসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে নৌকা প্রতীকের টঙ্গী অঞ্চলের ১৫টি ওয়ার্ডের সকল কেন্দ্র কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবদের মিটিং শুরু হয়। এ মিটিংয়ের খবর পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা থানায় উপস্থিত হলে দ্রুত মিটিং সমাপ্ত করে পুলিশ কমিশনার বেলালুর রহমান থানা ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কামাল হোসেনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামীলীগের কেন্দ্র কমিটির সাথে তাদের (পুলিশের) কোন মিটিং হয়নি। বরং তারা (আওয়ামীলীগ নেতারা) থানায় এসেছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে। ‘কোন লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন কিনা’ জানতে চাইলে ওসি বলেন, তারা কোন লিখিত অভিযোগ দেননি। বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রচারণায় বাধা ও হুমকি দিচ্ছেন এবং নৌকা প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছেন এমন মৌখিক অভিযোগ করেছেন আওয়ামীলীগ নেতারা।

পুলিশ কমিশনানেরর সাথে আওয়ামীলীগ নেতাদের কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ওনি (কমিশনার) ঢাকায় যাচ্ছিলেন; তাই একটু থানায় এসে ঘুরান দিয়ে গেলেন। তিনি আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে কোন কথা বলতে আসেননি।

এদিকে থানা থেকে বেরিয়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্র কমিটির সদস্যরা সাংবাদিকদেরকে জানান, পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে তাদেরকে আজ থানায় ডাকা হয়েছিল। কেন ডাকা হয়েছে এবং কি কথা হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘পুলিশ কমিশনার বলেছেন; আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে কোন সমস্যা হলে পুলিশের সহযোগিতা নিতে। এর চেয়ে আর বেশি কিছু না বলে তিনি মিটিং সমাপ্ত ঘোষণা করে দ্রুত চলে যান।’

যুবলীগের এক নেতার কাছে মিটিংয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বুঝেন না ? আমাদেরকে কেন ডাকা হয়েছে ? বিএনপিকে সাইজ করতে ও কেন্দ্র দখল করতে।’

মিটিংয়ে টঙ্গী থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামীলীগ দলীয় স্থানীয় দুই জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে এশিয়ান টেলিভিশনের স্থানীয় প্রতিনিধি ফকরুল ইসলাম ফাহিম আলোচিত ঘটনাসহ নির্বাচনী বিষয়ে থানার ভেতর থেকে ওসির লাইভ বক্তব্য নেওয়ার প্রস্তুতি নিলে তিনি (ওসি) সাংবাদিক ফকরুলের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন এবং তাকে থানা থেকে বের করে দেন।

এসময় থানার ওসি (অপারেশন) সুব্র সাহা সাংবাদিক ফাহিমের চাকরি খাওয়ার হুমকি দিয়ে বলেন, তুমি এখান থেকে চলে যাও; নাহয় এশিয়ান টিভির মালিক হারুন-অর-রশিদকে ফোন দেব।

এদিকে ঐক্যফ্রণ্ট প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সরাফত হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে জিএমপির গাছা থানায় গাছা অ ল আওয়ামীলীগের কেন্দ্র কমিটিগুলোর সাথে পুলিশ কর্মকর্তাদের গোপন মিটিং হয়। আমরা লিখিতভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেছি এবং জিএমপি কমিশনার ও গাছা থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছি। আবেদনের অনুলিপি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়েও ইমেইল করা হয়েছে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে আশা করি ইসি জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button