ইজতেমায় থাকছে বিআরটিসির ৩০০ বাস রেলওয়ের ১৩৮ ট্রেন

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : শুক্রবার থেকে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। ইজতেমায় আগত মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও যানজট হ্রাসে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন ও বাংলাদেশ রেলওয়ে। তত্পর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকরাও। তবে ব্যাপক প্রস্তুতি সত্ত্বেও টঙ্গী, গাজীপুরসহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে তীব্র যানজটের শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।

এবারের বিশ্ব ইজতেমা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এরই মধ্যে ইজতেমাস্থলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তুরাগ তীরে জমায়েত হতে শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। মুসল্লিদের আনা-নেয়ায় গতকাল থেকেই ৩০১টি বাস নামিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি। ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব বাস মুসল্লিদের আনা-নেয়ায় নিয়োজিত থাকবে।

বিআরটিসি থেকে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দর থেকে ইজতেমাস্থল পর্যন্ত চারটি বাস মুসল্লিদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। একইভাবে মতিঝিল-ইজতেমাস্থল-আবদুল্লাহপুর রুটে ৩৫টি, শিববাড়ী-মতিঝিল-ইজতেমাস্থল রুটে ২০, মতিঝিল-ইজতেমাস্থল-টঙ্গী রুটে ২০, গাজীপুর চৌরাস্তা-মতিঝিল-ইজতেমাস্থল রুটে ১০, গাবতলী-গাজীপুর-ইজতেমাস্থল রুটে ১৩, গাবতলী-ইজতেমাস্থল ভায়া মহাখালী রুটে ৪৫, গাজীপুর মতিঝিল ভায়া ইজতেমাস্থল রুটে ৩০, মতিঝিল-বাইপাইল ভায়া ইজতেমাস্থল রুটে ৩৪, নারায়ণগঞ্জ-ইজতেমাস্থল ভায়া ঢাকা (গুলিস্তান, রামপুরা, নতুনবাজার ও বিমানবন্দর) রুটে ২০টি, চিটাগং রোড-ইজতেমাস্থল ভায়া খিলগাঁও রুটে ২০, ঢাকা-মাওয়া/ঢাকা-পাটুরিয়া ভায়া সাভার রুটে ২০, নরসিংদী-ঢাকা রুটে ১৫ ও কুমিল্লা-ঢাকা রুটে আরো ১৫টি বাস দিয়ে বিশেষ সেবা প্রদান করবে বিআরটিসি। প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ রেলওয়েও। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এবার ইজতেমা উপলক্ষে ১৩৮টি ট্রেন বিশেষ সেবা দেবে।

ইজতেমা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), ঢাকা ও গাজীপুর জেলা পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক, দক্ষিণ জোন) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে প্রতি বছরই ট্রাফিক পুুলিশ বিশেষ উদ্যোগ নেয়। এবারো আমরা নিয়োজিত থাকছি মানুষের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে।

ডিএমপি ট্রাফিক সূত্রে জানা গেছে, ইজতেমা চলাকালে আশুলিয়া সেতু থেকে আবদুল্লাহপুর এবং টঙ্গী সেতু থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

তবে জরুরি প্রয়োজনের গাড়িগুলো চলতে পারবে। ইজতেমাগামী মানুষ ও সাধারণ যাত্রীরা বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর গাবতলী সড়ক ব্যবহার করতে পারবে।

ঢাকা থেকে যেসব মুসল্লি পায়ে হেঁটে ইজতেমাস্থলে যাবেন, তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গোলচত্বর-আজমপুর-আবদুল্লাহপুর হয়ে টঙ্গী সেতুর বদলে তুরাগ নদের ওপর নির্মিত বেইলি সেতু অথবা কামারপাড়া সেতু দিয়ে যেতে পারবেন। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যানবাহনগুলো পার্কিং করতে নির্দিষ্ট এলাকাও ঠিক করে দিয়েছে ডিএমপি।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাপক প্রস্তুতির পরও গাজীপুর, টঙ্গী, ঢাকার বিমানবন্দর, মহাখালীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে তীব্র যানজট দেখা দেবে। পাশাপাশি ইজতেমায় যোগ দেয়া মুসল্লিদের একটা বড় অংশ থাকবেন বা যাতায়াত করবেন রাজধানীর ওপর দিয়ে। প্রতিবার ইজতেমার কারণে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোয় তীব্র যানজট দেখা দেয়। এবারো একই আশঙ্কা করছেন তারা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button