গাজীপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে ভিডিও ছড়িয়েছে ফেসবুকে : ধর্ষকসহ গ্রেপ্তার ৫

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : গাজীপুরের ডগরী এলাকার এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ধর্ষণের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে দেয়া এবং বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে বিক্রি করার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে গাজীপুর জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানায় র‌্যাব-১।

গ্রেপ্তাররা হলো: প্রধান আসামী কোনাবাড়ীর জরুন এলাকার মোঃ খন্দকার বাদল আহম্মেদ (৫১) ও তার সহযোগী পিরুজালী সরকারপাড়া এলাকার মোঃ এশাদুল এরশাদ (৩৫), কাথোরার নাঈম (১৮), দক্ষিণ সালনার আসাদুল ইসলাম (৩১) এবং মোঃ সোহরাব হোসেন (৩৮)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-১ জানায়, ‘জয়দেবপুর থানার ডগরী এলাকার এক গৃহবধূকে (৩৫) হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে ধর্ষণের সেই ভিডিও ধারণ করে গ্রেপ্তার খন্দকার বাদল আহম্মেদ। পরবর্তীতে ধর্ষক বাদল তার সহযোগীদের সহায়তায় সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় এবং অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে বিক্রি করে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচার করা হয়’।

র‌্যাব আরো জানায়, ‘আসামী গ্রেপ্তারে র‌্যাবের সহায়তা চেয়ে একটি আবেদন করেন ওই গৃহবধূ। পরে ধর্ষণকারীকে খুঁজে বের করতে ও গ্রেপ্তারে ছায়া তদন্ত শুরু এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে র‌্যাব। পরবর্তীতে ২৫ নভেম্বর (বুধবার) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে র‌্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার মূলহোতা ধর্ষক খন্দকার বাদল আহম্মেদ ও তার সহযোগী এশাদুল, নাঈম, আসাদুল ইসলাম ও সোহরাব হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে পর্ণোগ্রাফী ভিডিওসহ একটি মনিটর, একটি সিপিইউ এবং একটি পেনডাইভ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে’।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাদলের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র‌্যাব আরো জানায়, ‘খন্দকার বাদল পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন যাবৎ ওই গৃহবধূ সাথে তার পরিচয়। সেই সুবাদে ১ বছর আগে ওই গৃহবধূ বাড়ীতে যায় বাদল এবং ফাঁকা বাড়ীতে সুযোগ বুঝে গৃহবধূকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সে। এরপর থেকে বাদল ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গৃহবধূকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে বাদল সেই ভিডিও সালনা বাজারের একটি কম্পিউটারের দোকানে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। পরবর্তীতে অন্য আসামীরা ওই ভিভিও ভিকটিমকে দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় অন্যথায় এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের হুমকি দেয়’।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button