কাপাসিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : আটক ৭
বিশেষ প্রতিনিধি : কাপাসিয়ার তরগাঁও ইউনিয়নের নবীপুর নরাইদ্দারটেক এলাকায় প্রবাসীর স্ত্রীকে (২২) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার ভিকটিম গৃহবধূ, তার স্বামী প্রবাসী। তার বাবার বাড়ি নবীপুর নরাইদ্দারটেক এলাকায়। তিনি এক সন্তানের জননী।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত কাপাসিয়ার চর খামের গ্রামের আইনুদ্দীনের ছেলে সাখাওয়াত পলাতক রয়েছে।
আটকরা হলো, কাপাসিয়ার তরগাঁও এলাকার মোস্তফা বেপারীর ছেলে রোমন বেপারী (২০), মহসীনের ছেলে জোবায়ের (২১), মফিজ উদ্দিন সর্দারের ছেলে মোস্তারীন সর্দার(২১), এহসান মোড়লের ছেলে মাহবুবুল হোসেন শাকিব (২২), মৃত ছফুর উদ্দিনের ছেলে মাসুম শেখ(২১), শামসুল হকের ছেলে রাকিব হোসেন (২০), বাদল মোড়লের ছেলে মহফুজুল হক (২০)।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, প্রবাসীর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে অভিযুক্তরা। পরে গৃহবধূর স্বজনদের ফোন করে টাকা দাবী করে তারা। বিষয়টি থানায় অবহিত করলে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে।
কাপাসিয়া থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, কাপাসিয়ার চর খামের গ্রামের আইনুদ্দীনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেনের সাথে ভিকটিমের মোবাইলে যোগাযোগ ছিলো। বৃহস্পতিবার রাতে সাখাওয়াত ভিকটিমকে মোবাইল দেয়ার কথা বলে বাড়ির বাইরে যেতে বলে। পরে ভিকটিম বাড়ির পাশে নরাইদ্দারটেক কড়ই তলায় যায়। সে সময় সাখাওয়াতসহ অভিযুক্তরা ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত ৭ জনকে আটক করেছে। ভিকটিমের স্বামীর বাড়ি নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলায়। তার স্বামী প্রবাসী। ভিকটিম ওইদিন তার বাবার বাড়ি কাপাসিয়া আসেন।
কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইয়াছমিন জানান, গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।