কালীগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেও ‘পুলিশী সেবা’ বঞ্চিত ভুক্তভোগীরা! 

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : “মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার” এই শ্লোগানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইতিমধ্যে জনবান্ধব পুলিশ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ পুলিশ। 

অপরদিকে “আপনার পুলিশ, আপনার পাশে। তথ্য দিন সেবা নিন। বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি।” এই শ্লোগানে বিট পুলিশিং-এর মাধ্যমে মানুষের ঘরে ঘরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। 

পুলিশের এতো সব অর্জনের মধ্যেও বাহিনীর কিছু সদস্য সেবা বঞ্চিত করছে ভুক্তভোগীদের। যা পুলিশের অর্জনকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে বলে অভিমত আইনজ্ঞদের।

সম্প্রতি কালীগঞ্জ থানায় ধর্ষণ, ডাকাতি, নারী নির্যাতন, চাঁদাদাবী ও হামলাসহ বেশ কিছু ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করেও ভুক্তভোগীরা আইনি সহায়তা পাচ্ছে না তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গুরুতর এসব ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করে দিনের পর দিন পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সেবাই পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা।

এমনকি জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) নির্দেশের পরও প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা। 

গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় দেড় মাস সময়ের মধ্যে কালীগঞ্জ থানায় দায়ের করা ছয়জন ভুক্তভোগীর দেয়া তথ্য ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে এ তথ্য উঠে এসেছে।

”বাংলাদেশের পুলিশ প্রবিধান ভাষ্য (পি আর বি)-এর ২৪৪ (ক) প্রবিধানে পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে- ‘আমলযোগ্য প্রত্যেক অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশের সামনে প্রদত্ত প্রথম তথ্য রেকর্ড করতে হবে সেটা প্রাথমিকভাবে সত্য হোক বা মিথ্যা হোক কিংবা গুরুতর হোক বা ক্ষুদ্র হোক অথবা দন্ডবিধি বা অন্য কোন স্পেশাল বা আঞ্চলিক আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য যাহাই হোক না কেন।”

gazipurkontho

ঘটনা-১

গত ৫ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ভাদার্ত্তী এলাকার আব্দুস সালামের মেয়ে সালমা আক্তার (২৭) বাদী হয়ে অর্থ আত্মসাত, নির্যাতন ও হত্যার হুমকির অভিযোগে তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেন। এরপর থানা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার না পেয়ে ১৫ দিনপর ২০ সেপ্টেম্বর গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন ভুক্তভোগী সালমা আক্তার। পরে বিষয়টি অনুসন্ধান পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) দায়িত্ব দেন পুলিশ সুপার। এরপর প্রায় এক মাস হতে চললেও এখনো কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান ভুক্তভোগী সালমা আক্তার।

তবে পুলিশের দাবী এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলো কালীগঞ্জ পৌরসভার মুনশুরপুর গ্রামের আব্দুল হাই আজিজুল আল আমিনের ছেলে নাদিম আল মুরাদ(২৭), তার মা উত্তরগাঁও এলাকার নুরুনানাহার খানম (৪৬), মুনশুরপুর গ্রামের মৃত মিন্নত আলীর ছেলে (নাদিমের পিতা) আব্দুল হাই আজিজুল আল আমিন(৫২) এবং সৎ মা মাসুমা (৪০)।

ভুক্তভোগী সালাম আক্তার বলেন, থানায় এজাহার দায়ের করার পর অভিযুক্তদের ধরে নিয়েও ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার না পেয়ে গাজীপুরে গিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত জানানোর পর ওসিকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব দেন এসপি স্যার। তবু থানা পুলিশ কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) পক্ষে ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কায়সার আহমদ বলেন, ঘটনার অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়ে তদন্ত করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

 gazipurkontho

ঘটনা-২

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে কালীগঞ্জ পৌরসভার মূলগাঁও এলাকায় ব্যবসায়ী শ্রীধাম চন্দ্র দাশের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাঁকে মারধর করে পঞ্চাশ হাজার টাকা লুট করে একই এলাকার কার্তিক (৪৫), উত্তম চন্দ্র দাশ (৪৭), গণেশ চন্দ্র দাশ (৩৫), উজ্জ্বল দাশ (৪৮) অঞ্জলী রানী দাশ (৭০) ও প্রসেনজিৎ (১৬)। এর কিছু সময় পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কালীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) এইচ এম ইমন। ওই দিন রাতেই ব্যবসায়ী শীধাম চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন।

ব্যবসায়ী শ্রীধাম চন্দ্র দাশ বলেন, ঘটনার পর রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে আমি বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছি। আসামি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি। মামলাও নথিভুক্ত করেনি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এইচ এম ইমন বলেছিলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঘটনা-৩

কালীগঞ্জের বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকায় অবস্থিত “ন্যাশনাল জুট মিলে” গত ২০ সেপ্টেম্বর দিবাগত মধ্যে রাতে অজ্ঞাত ২০-২৫ জন মুখোশধারী ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিলের সীমানা প্রাচীরের উপর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। সে সময় মিলে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী দেলোয়ার হোসেন, ফরিদ মিয়া, নজরুল ইসলাম, ইব্রাহিম, মোতালিবকে (ইলেকট্রিশিয়ান) বেঁধে মারধর করে ডাকাতরা। পরবর্তীতে তালা ভেঙ্গে মিলের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ১ ও ২ থেকে প্রায় ১৪ লাখ টাকা মূল্যমানের বৈদ্যুতিক তার, প্রায় ৬ লাখ টাকা মূল্যমানের কোরিয়ার তৈরি ববিন এবং লোহা। এছাড়াও নিরাপত্তাকর্মীদের চারটি মোবাইল ও টর্চ লাইটসহ সর্বমোট ২১ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যমানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

এ ঘটনায় ২২ সেপ্টেম্বর মিলের তত্ত্বাবধায়ক নজরুল ইসলাম মল্লিক বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন।

নজরুল ইসলাম মল্লিক বলেন, ঘটনার পর ওইদিন দুপুরে কালীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইয়াসমিন, থানার ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরদিন আমি বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছি। এরপর থেকে এখনো পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার বা লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করেনি পুলিশ। মামলাও নথিভুক্ত করেনি।

তিনি আরো বলেন, পূর্বেও মিলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় গত ২৭ জুন থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছিল। ওই ঘটনায়ও মামলা নথিভুক্ত করেনি পুলিশ।

ঘটনা-৪

২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে কালীগঞ্জ পৌরসভার মূলগাঁও এলাকার মৃত আরমান মিয়ার ছেলে এমদাদুল হক ইমনের বাড়িতে গিয়ে একই এলাকার ফাতেমা আক্তার নিলা (৪০), মনির মিয়া (৩৫), আক্তার (৪০) ও মোশারফসহ (২৮) অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন ও ভুক্তভোগীকে মারধর করে। সে সময় ভুক্তভোগীকে হত্যার হুমকি প্রদান করে অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এমদাদুল হক ইমন বাদী হয় ৩০ সেপ্টেম্বর থানায় এজাহার দায়ের করে। পরদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কায়সার আহমদ।

ভুক্তভোগী এমদাদুল হক ইমন বলেন, এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এছাড়াও মামলাও নথিভুক্ত করেনি।

ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব থাকা কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কায়সার আহমদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঘটনা-৫

বিয়ের প্রলোভনে মিথ্যে বিয়ের নাটক সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধর্ষণের শিকার মুনশুরপুর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী (৪৩) গত ৬ অক্টোবর থানায় এজার দায়ের করেন। পরবর্তীতে অভিযুক্ত নয়ন মিয়া (৪৫) ও সহযোগী আবু তাহের কাজীকে   আটক করে থানায় নিয়ে রাতভর দরবার করে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। দরবারে উপস্থিত ছিলো স্থানীয় দুই কাউন্সিলর। এরপর থেকে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ভুক্তভোগীকে লাগাতার হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় থানা থেকে আইনি কোন সহায়তা না পেয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী গত ১২ অক্টোবর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনা অনুসন্ধান পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার।

এসব তথ্য জানিয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, এখনো পর্যন্ত থানা পুলিশ আইনি কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। আসামি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওসি’র সঙ্গে দেখা করে আইনি সহায়তার জন্য অনুরোধ করলে তিনি বলেন আদালতে গিয়ে মামলা করতে।

ঘটনা-৬

ফেনী জেলার পরশুরাম পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের উত্তর গুথুমা এলাকার ক্বারী ইয়াকুবের ছেলে হাফেজ আব্দুর রহমান হোজাইফা (২৩) কালীগঞ্জের মূলগাঁও এলাকায় তার এক বন্ধুর বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। সেই সুবাদে মূলগাঁও এলাকার তার বন্ধুর বোনকে (১৯) প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে বিভিন্ন কৌশলে ফাঁদে ফেলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিকভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন (ধর্ষণ) করে। পরে বিয়ের কথা বললে সে টালবাহানা করতে থাকে। বিষয়টি আব্দুর রহমানের বাবা-মাকে জানালে তারা ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি দেখায় এবং হুমকি দেয়। এ ঘটনা ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গত ১৩ অক্টোবর কালীগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করে। পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

এ তথ্য জানিয়ে ভুক্তভোগী বলেন, এজাহার দায়ের করার পর কয়েকবার থানায় যোগাযোগ করেছি কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।

ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব থাকা কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম-১ বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় গত ১১ অক্টোবর থেকে ছুটিতে রয়েছি। অভিযোগ দায়েরের পর আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে শুনেছি। থানায় যোগাদান করে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, আইন গবেষক ও আইনগ্রন্থ প্রণেতা সিরাজ প্রামাণিক জানান, থানায় কোন অভিযোগকারী ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করলে তা প্রত্যাখ্যান করার এখতিয়ার আমাদের দেশের বিদ্যমান ও বর্তমান কোন আইনে নেই। পুলিশ স্টেশন বা থানায় মামলা বা অভিযোগ দায়েরের কথা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারায় উল্লেখ থাকলেও পুলিশ বাহিনীর বাইবেল বলে পরিচিত পুলিশ রেগুলেশন্স বেঙ্গল- ১৯৪৩ (পি আর বি)-এর ২৪৪ নম্বর প্রবিধানে অভিযোগ গ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে বলা হয়েছে। পিআরবি-এর ২৪৪ (ক) প্রবিধানে পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে- ‘আমলযোগ্য প্রত্যেক অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশের সামনে প্রদত্ত প্রথম তথ্য রেকর্ড করতে হবে সেটা প্রাথমিকভাবে সত্য হোক বা মিথ্যা হোক কিংবা গুরুতর হোক বা ক্ষুদ্র হোক অথবা দন্ডবিধি বা অন্য কোন স্পেশাল বা আঞ্চলিক আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য যাহাই হোক না কেন। পিআরবি এর এই প্রবিধানে মামলা গ্রহণ বা রেকর্ড করার বাধ্যবাধকতায় শব্দ ‘বাধ্য’ ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, থানায় মামলা না নেয়ায় পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে যে শাস্তি হতে পারে তা পুলিশ আইন ১৮৬১ এর ২৯ নম্বর ধারায় পরিস্কারভাবে উল্লেখ আছে। সেখানে বলা আছে, কোন পুলিশ কর্মচারী যদি কোন নিয়ম বা রেগুলেশন স্বেচ্ছাকৃত ভাবে অমান্য করে বা গাফিলতি এবং পূর্ণভাবে তা পালনে শৈথিল্য করা; তবে তাকে বিচারার্থে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সোপর্দ করা চলবে এবং বিচারে অপরাধী প্রমাণিত হলে ৩ মাসের বেতনের সমপরিমাণ জরিমানা অথবা তিন মাস পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা উভয়বিধ দন্ড হতে পারে।

এ সকল বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিসুর রহমানের ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button