চীন-ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষায় বাংলাদেশই সবচেয়ে সফল
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতির বড় ধরনের আলোড়ন তুলেছে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)। ভারত ও চীনের মধ্যে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় তীব্রতা এনে দিয়েছে বেইজিংয়ের এ উদ্যোগ। শুরু থেকেই এ উদ্যোগের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে ভারত। আবার চীন-ঘনিষ্ঠতা ও ভারতের সঙ্গে বৈরিতার সুবাদে বিআরআইকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর জন্য পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। এসব দেশে বড় ধরনের কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বিআরআই উদ্যোগ। বিআরআই প্রকল্পগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখা নিয়ে প্রতিনিয়ত উদ্বেগে ভুগছে দেশগুলো। এদিক থেকে বাংলাদেশকেই সবচেয়ে সফল বলে মনে করছে মার্কিন থিংকট্যাংক প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস (সিএফআর)।
প্রতিষ্ঠানটির চলতি মাসে প্রকাশিত এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিতে নানা ধরনের সংবেদনশীলতা দেখা যায়। ভূরাজনীতির পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতিতেও এর প্রভাব রয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানকে বাদ দিলে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপে এরই মধ্যে বিআরআই নিয়ে নানামুখী প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তবে দেশগুলোর মধ্যে বিআরআইকে ইতিবাচক ও সফলভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে শুধু বাংলাদেশ। আবার চিরবৈরী দেশ দুটির সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ দুই দেশ থেকেই বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগও আদায় করে নিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমাদের যে পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ এটা তারই ফলাফল। দুটো দেশের সঙ্গেই আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। যখনই ভূরাজনীতির কোনো বিষয়ের সঙ্গে সামরিক ব্যাপার জড়িত থাকে, সেখানে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে আমাদের আপত্তি থাকে। সবসময় তা-ই হয়ে এসেছে। সে জায়গায় ভারত হোক বা চীন—সবাই বেশ ভালো করেই জানে যে বাংলাদেশ কারো প্রতি কোনো ধরনের সামরিক হুমকি গড়ে তুলছে না। এবং তাদের ভূমি অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করারও কোনো চিন্তাভাবনা বাংলাদেশের নেই। কখনো ছিল না। ভবিষ্যতে থাকার কথাও না। সব ধরনের মেরুকরণ এড়িয়ে নিজের অর্থনৈতিক স্বার্থের বিষয়ে জোর দেয়া, এমন নীতি খুব কম দেশেরই দেখা যায়। এ নীতিটির জন্য বাংলাদেশ অনেক দেশের জন্য রোল মডেল হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সত্যিকার অর্থেই আমাদের কোনো শত্রু নেই। যখন স্নায়ুযুদ্ধ খুব চরমে ছিল, তখনই আমাদের এ বৈদেশিক নীতিটি তৈরি হয়েছে। এর উপকারও এতদিন বাংলাদেশ খুব ভালোভাবে পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলও বুঝতে পেরেছে দুটি বৈরী দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক রাখতে বাংলাদেশের কোনো ঝামেলা হচ্ছে না।
গত কয়েক বছরে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাশাপাশি ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থগুলোর প্রতিও সংবেদনশীলতা বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় বিআরআই নিয়ে দুর্নাম বাংলাদেশেই সবচেয়ে কম। উদ্যোগটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার সূচনা বিসিআইএম (বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার) করিডর দিয়ে। চার দেশেই এ করিডর-সংলগ্ন এলাকাকে সম্পদের দিক দিয়ে অনেক সমৃদ্ধ ধরা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিসিআইএম করিডর সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলে বাণিজ্যের আকার বাড়বে বছরে প্রায় ১৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার। তবে এখন পর্যন্ত করিডরটি নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মিয়ানমার হয়ে চীনের কুনমিং পর্যন্ত বিকল্প আরেকটি করিডর গড়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে চীনের অর্থায়ন রয়েছে ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি। এসব প্রকল্পের অধীনে সেতু, বিদ্যুৎকেন্দ্র, আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্র ও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়া জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ, এক্সপ্রেসওয়ে ও অন্যান্য প্রকল্পে চীনের আরো প্রায় ৯০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ চেয়েছে বাংলাদেশ।
আবার ভারতের সঙ্গেও ঐতিহাসিকভাবেই অনেক ভালো সম্পর্ক বাংলাদেশের। অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, চোরাচালান, সীমান্ত হত্যা ও মাদক পাচারসহ নানা বিষয় নিয়ে নানা মাত্রায় বিতর্ক থাকলেও প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতায় এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি। দক্ষিণ এশিয়াকেন্দ্রিক কানেক্টিভিটি প্রকল্পগুলোয়ও দুই দেশ একযোগে কাজ করছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশাধিকার পেয়েছে। ২০১৫ সালে সড়কপথে যান চলাচল নিয়ে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল (বিবিআইএন)।
স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের আমদানি বাণিজ্যে ভারতের বড় ধরনের প্রভাব দেখা গিয়েছে। কোনো কোনো ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট পণ্যের বাজার অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে উঠেছে। বিষয়টি বিবেচনায় বাংলাদেশও বাণিজ্য খাতে ভারতের ওপর অতিনির্ভরশীলতা কমানোর বিষয়ে সচেতনতা দেখিয়েছে। যদিও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রভাবই দেখা যায়নি।
বাংলাদেশের পণ্য আমদানি বাণিজ্যে সবচেয়ে বড় অংশীদার হলো চীন। নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে শিল্পপণ্যের কাঁচামাল পর্যন্ত সব খাতেই দেশটির অবদান স্পষ্ট। দেশের সামরিক খাতেও আমদানির বড় উৎস হলো চীন। গত পাঁচ বছরে দুই দেশের মধ্যে সমরাস্ত্র বাণিজ্যের আকার বেড়েছে। বর্তমানে চীনের মোট সমরাস্ত্র রফতানির ১৭ শতাংশের গন্তব্য হলো বাংলাদেশে।
দেশের অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে চীনের বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ রয়েছে। বিনিয়োগ রয়েছে ভারতেরও। এখন পর্যন্ত এ দুই দেশের পারস্পরিক বিরোধে কোনোটিকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক সমর্থন জানায়নি বাংলাদেশ। এ বিষয়টিই দুই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন ভূরাজনীতির পর্যবেক্ষকরা।
গত কয়েক বছরে ব্যাপক মাত্রায় ওলটপালটের মধ্য দিয়ে গিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি। মহামারীর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা আরো তীব্র হয়ে ওঠে। এর মধ্যেই ২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ উত্তেজনা সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নেয়ারও বড় আশঙ্কা তৈরি হয়। দুই দেশের ওই তীব্র উত্তেজনার সময়টিতেও অনেকটা নির্লিপ্ত নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিয়েছিল বাংলাদেশ।
চীন-ভারত ভূরাজনৈতিক দ্বৈরথের বড় একটি হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল কভিড-১৯-এর টিকা। টিকাকে হাতিয়ার করে কভিডকালীন ভূরাজনীতিতে চীনকে টেক্কা দেয়ার জোর প্রয়াস চালিয়েছিল ভারত। গত বছরের শুরুর দিকেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো টিকার জন্য নয়াদিল্লির ওপরই নির্ভর করেছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু মহামারী মারাত্মক আকার ধারণ করলে টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বাধ্য হয় নয়াদিল্লি। একই সময়ে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় কভিডের সংক্রমণ প্রবাহ ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। সে মুহূর্তে শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে আসে চীন। কিছুদিনের জন্য হলেও চীনের সরবরাহকৃত ভ্যাকসিন হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ এশিয়ার টিকা সংকট মোকাবেলার বড় হাতিয়ার।
এর সঙ্গে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোট বেঁধে আঞ্চলিক ভূরাজনীতির ভরবিন্দুর এ পরিবর্তন মোকাবেলায় বেশ জোর প্রয়াস চালায় ভারত। সক্রিয় করে তোলে প্রায় বিস্মৃত কোয়াড জোটকে। তবে এ প্রয়াস খুব একটা কাজে দেয়নি। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কোনো দেশই এ জোটে যোগ দেয়নি।
তবে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের বর্তমান সংকট দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় চীনের বিনিয়োগ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ করে দিয়েছে। বিষয়টি আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে চীনকে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। অন্যদিকে আবারো সামনে এগিয়ে আসার সুযোগ পেয়েছে ভারত। বিশেষ করে শ্রীলংকার বর্তমান সংকট মোকাবেলায় দেশটিকে এখন বেশ সক্রিয় ভূমিকা রাখতে দেখা যাচ্ছে।
আঞ্চলিক ভূরাজনীতির নাটকীয় এসব মুহূর্তেও ভারত বা চীনের প্রতি কোনো ধরনের বৈরিতা প্রদর্শন করেনি বাংলাদেশ। দুই দেশের বিরোধ নিয়ে এ নির্লিপ্ত মনোভাবই বেইজিং ও নয়াদিল্লির সঙ্গে ঢাকার সুসম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সিএফআরের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বৈরিতা নয়’—এ নীতির সফল প্রয়োগের দৃষ্টান্ত হলো চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক। আমরা সবার সঙ্গেই সমানভাবে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছি।
ভারত পাকিস্তান বাদ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো নিয়েও সিএফআরের পর্যবেক্ষণ রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষুদ্রতম দেশ মালদ্বীপ নিয়ে সিএফআরের ভাষ্য হলো বিআরআই নিয়ে দেশটির আগ্রহ সবচেয়ে কম। এক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে আসা ভূরাজনৈতিক চাপ বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া স্থানীয় রাজনীতির নানা বিষয়ও এখানে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। এসব চাপ এড়িয়ে দুই দেশের সঙ্গেই সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করা মালদ্বীপের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
বিআরআই ও চীন নিয়ে নেপালের অবস্থান সম্পর্কে সিএফআরের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, এক্ষেত্রে তিনটি বিষয় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। প্রথমত, নেপাল ভারতের প্রতি অতিনির্ভরতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ অতিনির্ভরতার সুযোগ নিয়ে নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগও রয়েছে। দ্বিতীয় প্রভাবকটি হলো ২০১৫ সালের নেপাল ভূমিকম্প। দুই দফার ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পের ঘটনার দুই মাসের মাথায় নেপালের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। একই সময়ে দেশটির প্রতি বিপুল পরিমাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসে চীন। একই সঙ্গে সে সময় উদ্ধার তত্পরতা ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়েও নেপালকে সহযোগিতা করেছে বেইজিং। তৃতীয় প্রভাবক হলো নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি। দলটি ঐতিহাসিকভাবেই চীনঘেঁষা, যা নেপালের বিআরআই এবং চীন-ভারত সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
বিআরআই উদ্যোগের সবচেয়ে বড় দুর্নামের উৎস হয়ে উঠেছিল শ্রীলংকার হাম্বানটোটা বন্দর। ২০১৭ সালে বেইজিংয়ের ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে বন্দরটি চীনকে লিজ দিয়ে দেয় শ্রীলংকা। তবে দেশটির ভেতরে বিআরআই নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি মিশ্র প্রকৃতির। আবার চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দেশটির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে চিড় ধরিয়েছিল। অতীতে দেশটির রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপের নিদর্শনও রয়েছে। তামিল বিদ্রোহীদের নিয়ে দুই দেশের মধ্যে এক ধরনের অবিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, যার রেশ থেকে গিয়েছে দীর্ঘদিন।
সূত্র: বণিক বার্তা