গুরত্বহীন হয়ে হারিয়েছে ফণী

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় ফণী অধিকতর দুর্বল হয়ে নেত্রকোণা দিয়ে সীমান্ত অতিক্রমের পর আসামে পৌঁছে গুরত্বহীন হয়ে পড়েছে।

গভীর বঙ্গোপসাগরে গত ২৬ এপ্রিলের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ভারতের উড়িষ্যায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে শুক্রবার আঘাত হানে।

এরপর শক্তি ক্ষয় করে খুব প্রবল হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে শনিবার ভোর রাতের দিকে আঘাত হানে।

পরবর্তীতে আরো শক্তি হারিয়ে বাংলাদেশে খুলনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আছড়ে পড়ে।

ধীরে ধীরে উত্তর পূর্ব দিকে এগোতে এগোতে প্রথমে গভীর নিম্নচাপ, পরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে রূপ নিয়ে সন্ধ্যায় নেত্রকোণায় লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছিল। পরবর্তীতে আরো উত্তর পূর্ব দিকে তথা আসামের দিকে যেয়ে এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে।

আবহাওয়া অফিস ফণী’র শেষ বিশেষ বুলেটিনের ঘোষণায় দিয়ে জানিয়েছিল, লঘুচাপটি সীমান্ত অতিক্রম করেই গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।

আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দুছ শনিবার রাত ১০টার দিকে জানান, ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির প্রবাহ গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। তবে বায়ুর এ প্রবাহটি কারণে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন আছে। কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত আছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাগর বর্তমানে উত্তাল আছে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া অমাবস্যা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব অঞ্চলের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ২ থেকে ৪ ফুটের অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস প্লাবিত হতে পারে।

এই অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এছাড়া সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোত এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button