ইউনিলিভারের শ্যাম্পুতে ক্যানসারের উপাদান, বাজার থেকে শ্যাম্পু প্রত্যাহার শুরু

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : প্রসাধন সামগ্রী উৎপাদনকারী বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার উৎপাদিত শ্যাম্পুতে ক্যানসারের উপাদান মিলেছে। এ জন্য ডাভ, নেক্সাস, সুভসহ সব ব্র্যান্ডের ড্রাই শ্যাম্পু প্রত্যাহার শুরু করেছে কোম্পানিটি।

ক্যানসারের সম্ভাবনা উস্কে দেওয়া রাসায়নিক উপাদান ‘বেনজিনে’র বিপজ্জনকমাত্রার উপস্থিতি থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে ইউনিলিভার।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফুডস অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি নোটিশ জারি করে। সেই নোটিশে ইউনিলিভারের ডাভ, নেক্সাস, সুঅভ ও টিগি ব্র্যান্ডের ড্রাই শ্যাম্পুর মধ্যে বেনজিনের উপস্থিতি শনাক্তের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে এসব ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয় ইউনিলিভারের উদ্দেশে।

এফডিএর নোটিশে বলা হয়, ‘এসব ড্রাই শ্যাম্পুতে যে মাত্রার বেনজিনের উপস্থিতি রয়েছে। এই শ্যাম্পু দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে লিউকোমিয়া ও অন্যান্য ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

এফডিএর নোটিশকে আমলে নিয়ে বাজার থেকে নিজেদের সব ধরনের ড্রাই শ্যাম্পু প্রত্যাহার করছে ইউনিলিভার। কোম্পানির এক কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, যেসব শ্যাম্পু প্রত্যাহার করা হচ্ছে, সেগুলোর প্রায় সবই প্রস্তুত করা হয়েছিল ২০২১ সালের অক্টোবরে।

গত বছর বহুজাতিক প্রসাধনী কোম্পানি প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল (পি অ্যান্ড জে) কোম্পানির প্রস্তুতকৃত ড্রাই শ্যাম্পু প্যানটিন অ্যান্ড হারবালেও উচ্চমাত্রার বেনজিনের উপস্থিতি শনাক্ত করেছিল মার্কিন গবেষণাগার ভ্যালিস্যুর। মার্কিন এই সংস্থা মূলত স্বাস্থ্যসেবা ও প্রসাধন পণ্যের মান নিয়ে গবেষণা করে।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভ্যালিস্যুরের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওই মাসেই বাজার থেকে প্যানটিন অ্যান্ড হারবাল ব্র্যান্ডের সব ড্রাই শ্যাম্পু প্রত্যাহার করে নেয় পি অ্যান্ড জে।

ভ্যালিসুরের শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড লাইট ব্লুমবার্গকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমরা বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাবান, শ্যাম্পু, বডি স্প্রেসহ নানা ধরনের প্রসাধন সামগ্রী নিয়ে গবেষণা করছি। গবেষণায় প্রায় প্রতিটি অ্যারোসল বা ড্রাই শ্যাম্পুর মধ্যেই বেনজিনের উপস্থিতি দেখতে পেয়েছি।’

‘বেশিরভাগ ড্রাই শ্যাম্পুতে বেনজিনের উচ্চমাত্রার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। বেনজিনের উচ্চমাত্রার উপস্থিতি রয়েছে— এমন প্রসাধনী দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে ক্যানসার সৃষ্টি হতে পারে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button