ভ্রমণ কর বাড়লেও মান তলানিতেই

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে ১ জুলাই থেকে দ্বিগুণ হারে কর আদায় শুরু হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের ভ্রমণ কর ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার এবং শিশুদের ক্ষেত্রে ২৫০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। যাত্রীদের ভাষ্য, সরকার নতুন অর্থবছরে ভ্রমণ কর বাড়িয়ে দ্বিগুণ করছে ঠিকই, কিন্তু সেবার মান বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
চিকিৎসা ও ভ্রমণসহ নানা কাজে বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভারত ভ্রমণ করেন। এর মধ্যে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করেন প্রায় ৭ হাজার মানুষ।
রাশিদা বেগম নামে এক নারী অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমকে করেন, শিশুদের ভ্রমণ কর ৫০০ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু সোনালী ব্যাংকে ৫০০ টাকার রসিদ বই নেই। এ কারণে শিশুর জন্য তাকে হাজার টাকা দিতে হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মনিমহন সানা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শিশুদের ৫০০ টাকার রসিদ বই এখনো হাতে পাইনি।
খুলনার রুবিনা আক্তার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে বেড়াতে কলকাতা যাচ্ছি। এখানে এসে দেখি দীর্ঘ লাইন। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। রাত ৩টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। এখন সকাল ৮টা বাজে।’ ভ্রমণ কর বাড়লেও সেবার মান বাড়েনি বলেও অভিযোগ করেন অনেক যাত্রী।
বেনাপোল স্থলবন্দর আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের উপপরিদর্শক শেখ মাসুদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে দালাল প্রকৃতির কারও সঙ্গে লেনদেন করা থেকে যাত্রীদের বিরত থাকতে হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ঈদের দিন বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে গেছেন ৭ হাজার ২৪০ জন।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ভোরে একসঙ্গে সব পরিবহন এসে পৌঁছানোর কারণে ভিড় বেশি। যাত্রীসেবা বাড়াতে ইতোমধ্যে পোর্ট ট্যাক্স অনলাইনে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বন্দরে যাত্রীদের টার্মিনালের জন্য জায়গা অধিগ্রহণের কাজ চলছে।