টঙ্গীতে সীমানাপ্রাচীর ধসে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : টঙ্গীতে নালা নির্মাণকাজের সময় একটি বাড়ির সীমানাপ্রাচীর ধসে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে টঙ্গীর পাগাড় ঝিনু মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন। এর মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ময়মনসিংহের নান্দাইলের কড়ইকান্দি গ্রামের আলী হোসেন ছেলে বকুল হোসেন (৩৫), নর্দানগর গ্রামের মো. আকন্দের ছেলে মো. সুলতান (৫০) ও কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার গৌরীপুর গ্রামের ধনু মিয়ার ছেলে মো. সবুজ (৩৫)।
এ ঘটনায় নয়ন (২৫) ও মাহাতাব (৩০) নামের আরও দুই শ্রমিক আহত হন। তাঁদের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে মাহাতাবের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে টঙ্গীর পাগাড় ঝিনু মার্কেট এলাকায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নালা নির্মাণকাজ চলছিল। প্রতিদিনের মতো সেখানে কাজ করছিলেন অন্তত ১৫–২০ জন শ্রমিক। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার কাজ চলাকালীন নালার পাশের একটি বাড়ির সীমানাপ্রাচীর হঠাৎ শ্রমিকদের ওপর ধসে পড়ে। এতে গুরুতর আহত হন কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করি। এর মধ্যে কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠাই। পরে তিনজন মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি।’
ইকবাল হোসেন আরও বলেন, মূলত বাড়িটির সীমানাপ্রাচীর ছিল নির্মাণাধীন নালাঘেঁষা। নালার জন্য মাটি খনন করতে গেলে হঠাৎই দেয়ালটি শ্রমিকদের ওপর ধসে পড়ে। তদন্ত করার পর দেয়াল ধসে পড়ার কারণ বা কারও গাফিলতি ছিল কি না, তা বোঝা যাবে।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ধসে পড়া সীমানাপ্রাচীরটি ছিল পুরোনো। তাই নালা নির্মাণের কাজ করার সময় ধসে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে কারও কোনো গাফিলতি ছিল কি না বা নিরাপত্তাব্যবস্থা যথাযথ ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।