ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আ.লীগ নেতার উদ্যোগে ভিক্ষুক সমিতি গঠন!

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এরশাদ আলীর উদ্যোগে শতাধিক ভিক্ষুক নিয়ে ভিক্ষুক ওরফে ফকির সমিতি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মো. জালাল উদ্দিন।
শনিবার (৯ মার্চ) মাধবপুর ও লাগোয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও বিজয়নগর উপজেলার স্বাভাবিক ও প্রতিবন্ধী শতাধিক ভিক্ষুকদের অধিকার, দাবি আদায় ও বিত্তবানদের সহানুভূতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ কমিটি গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি নিরসনে কাজ করছে সরকার। উপজেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসনেও কিছু কর্মকাণ্ড রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই ভিক্ষুক সমিতির উদ্দেশ্যে সৎ হলেও আমাদের সমাজসেবা অফিসের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক।
ভিক্ষুকদের সামাজিক অধিকার সুনিশ্চিত করে তাদের পুনর্বাসন কর্মকাণ্ডকে ত্বরান্বিত করা এবং বিত্তবানদের সহানুভূতি অর্জন করাই কমিটির মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন ওই উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা।
এদিকে ভিক্ষুক সমিতি গঠন করা নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। কেউ বলছেন ভিক্ষাবৃত্তি উৎসাহিত করা হচ্ছে। কেউ বলছেন মানবিক দায়িত্ব পালন থেকে এটি করা।
সাহায্য বা ভিক্ষা চাওয়ার সুস্পষ্ট আইন বা সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা নেই। সেক্ষেত্রে সেটি করতে বাধাও নেই বলে জানিয়েছেন সমাজসেবা অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা।
ভিক্ষুক সমিতির সংগঠক ও উপদেষ্টা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহিন উদ্দিন শাহিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, হতদরিদ্র, অসহায় মানুষদের সাংগঠনিকভাবে একত্রিত করা আর ভিক্ষাবৃত্তিকে উৎসাহিত করা এক নয়। এদের কাউন্সিলিং ও সহযোগিতা করে তাদের মেধাবৃত্তিকে জাগ্রত করে স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরিয়া আনাই আমাদের উদ্দেশ্য।
এ ব্যাপারে উদ্যোক্তা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এরশাদ আলী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সামনে পবিত্র রমজান। রমজানে ভিক্ষুকদের প্রতি মানবিকতা প্রদর্শন করে আমরা অনেক সওয়াব লাভ করতে পারি। বাস্তবে সরকার এদের পুনর্বাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কিন্তু আমাদের মাধবপুর উপজেলা তেমন কর্মকাণ্ড চোখে পড়ে না সেজন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য ভিক্ষুকদের জন্যে কল্যাণকর কিছু করাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। ভিক্ষাবৃত্তিকে আমরা কখনোই সমর্থন করি না। যেহেতু আগামী উপাজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছি তাই সকলের সুখ-দুঃখ দেখাও আমার নৈতিক দায়িত্ব।