মিথ্যে মামলায় শওকত আজিজকে ফাঁসাতে এসপি হারুনের ফাঁদ!

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : যেন কোনও অ্যাকশন মুভির গল্প। পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাশেমের ছেলে ও আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আজিজ রাসেলের ব্যবহৃত গাড়িটি চালকসহ ঢাকা ক্লাব থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ৩১ অক্টোবর রাতে। পরদিন ১ নভেম্বর মধ্যরাতে গুলশানের বাসা থেকে রাসেলের স্ত্রী ফারাহ রাসেল (৪০) ও তার ছেলে আনাব আজিজকে (১৭) বাসা থেকে তুলে নেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। পৃথক জায়গা থেকে গাড়ি, এর চালক ও রাসেলের পরিবারের সদস্যদের পুলিশ নিয়ে গেলেও ২ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সংবাদ সম্মেলন করে জানান, পুলিশ গাড়িটি আটকের পর এর ভেতর থেকে মাদক ও গুলি উদ্ধার করেছে। তখন গাড়িটিতেই ছিলেন রাসেলের স্ত্রী ও সন্তান। তবে দুইয়ে দুইয়ে চার এখানে মেলাতে পারেননি নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার। তার গল্পের মাঝে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় শওকত আজিজ রাসেলের বাসার সিসিটিভি ফুটেজ। তাতেই বিতর্কিত হয়ে পড়েন পুলিশের এই কর্মকর্তা। এরপর ৩ নভেম্বরই নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করে এসপি হারুনকে ঢাকায় পুলিশ সদর দফতরের টিআর শাখায় বদলি করা হয়।

২ নভেম্বর (শনিবার) নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হারুন অর রশীদ জানিয়েছিলেন, আগের দিন শুক্রবার (১ নভেম্বর) দিনগত রাত ৩টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় চৌরঙ্গি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে একটি গাড়ি জব্দ করা হয়। এর আগে গাড়িটি তল্লাশি করে একটি প্যাকেটে থাকা ২৮ রাউন্ড গুলি, ১২শ’ পিস ইয়াবা, ২৪ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ, ৪৮ ক্যান বিয়ার ও নগদ ২২ হাজার ৩শ’ টাকা উদ্ধার করা হয়। তখন গাড়িতে শওকত আজিজ রাসেলের স্ত্রী ফারাহ রাসেল ও তার ছেলে আনাব আজিজ ছিলেন। রাতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরবর্তীতে স্ত্রী ও সন্তানকে ছেড়ে দেওয়া হলেও শওকত আজিজ রাসেল ও তার গাড়িচালক সুমনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা হয়েছে। পলাতক শওকত আজিজ রাসেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

পরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাত ১টার দিকে এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে তার ঢাকার বাসায় নামিয়ে দিয়ে গাড়িচালক কনস্টেবল জুয়েল ও দেহরক্ষী নাজমুল হোসেন গাড়ি নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ফেরার পথে রাজধানী তেজগাঁও সাত রাস্তায় মগবাজার ফ্লাইওভারের সামনে যানজটে আটকে পড়ে। এ সময় গাড়িচালক জুয়েল মিয়া হর্ন দিলে সামনে থাকা জিপ থেকে একজন লোক নেমে এসে গাড়ির বামপাশের কাচে সজোরে আঘাত করে গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় ওই লোক গাড়ির দরজা খোলার জন্য বলে। তখন এসপির গাড়িচালক গ্লাস খুলে প্রতিবাদ করলে ওই ব্যক্তি তার মাথায় পিস্তল তাক করে। ওই ব্যক্তিটি মূলত শওকত আজিজ রাসেল; যিনি পরে জুয়েল ও নাজমুল হোসেনকে পুলিশের লোক বলে বুঝতে পারেন এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এরপর পুলিশ সুপারের গাড়িটি রাসেলের গাড়িটি অনুসরণ করতে শুরু করে। একপর্যায়ে রাসেলের গাড়িটি নারায়ণগঞ্জের দিকে আসতে থাকলে এসপির দেহরক্ষী কনস্টেবল নাজমুল ইসলাম ঘটনাটি ডিবি পুলিশের এসআই আবদুল জলিলকে অবহিত করেন। আবদুল জলিল ফোর্স নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে গাড়িটির গতিরোধ ও তল্লাশি করে। ওই সময় গাড়ির ভেতর থেকে ওই মাদক ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

এদিকে এসপি হারুনের ওই সংবাদ সম্মেলনের পরপরই শওকত আজিজ রাসেলের বাসার সিসিটিভি ফুটেজ চলে আসে গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে। সেখানে দেখা যায়, পহেলা নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টার পর বাসায় প্রবেশ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা। রাত ১টার দিকে রাসেলের স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয় তারা। অনুসন্ধান করে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পারেন, তাদের নিয়ে যাওয়া হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি কার্যালয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে রাসেলের স্ত্রী ও সন্তানকে বাসা থেকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গুলশান থানা পুলিশ অবহিত ছিল না। এ বিষয়ে কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি। পরে বিষয়টি অবহিত হয়েই এসপি হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ সদর দফতর।

এদিকে, ওই গাড়ি থেকে মাদক ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া দুই মামলায় আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। ওই দুই মামলায় বিচারিক আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত রাসেলকে জামিন দেন হাইকোর্ট। আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেলের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (৪ নভেম্বর) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শওকত আজিজ রাসেল (ছবি সংগৃহীত)

জামিন পাওয়ার পর এদিন বিকালে শওকত আজিজ রাসেল দাবি করেন, চাহিদামতো চাঁদার টাকা না পেয়ে তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন এসপি হারুন। সেই ক্ষোভে প্রথমে ঢাকা ক্লাব থেকে গাড়িটি নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গুলশানের বাসা থেকে স্ত্রী ও সন্তানকে তুলে নিয়ে সেই গাড়ি থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তার (এসপি হারুন) মূলত টাকা লাগবে। এই টাকার জন্য সে যেকোনও কিছু করতে পারে। ২০১৬ সাল থেকেই সে চাঁদা দাবি করে আসছে। বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের অত্যাচার করে আসছে। বর্তমানে রূপগঞ্জে আমরা পেপার মিল চালু করতে যাচ্ছিলাম। সেখানেও তিনি চাঁদা দাবি করছেন। যে কারণে আমার ওই প্রজেক্টের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। আমাদের কাছে সে আট কোটি টাকা দাবি করেছিল। আট কোটি টাকা দেওয়া হলে সব ঠিক করে দেবে। নইলে প্রজেক্ট করতে দেবে না।’

তিনি বলেন, আমরা কখনও এ ধরনের চাঁদাবাজি প্রশ্রয় দেই না। আদালতের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে। মামলায় যা হবে তা-ই। আমরা আইনগতভাবে মোকাবিলা করবো।

গাড়ি ও বাসা থেকে স্ত্রী সন্তানকে তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গে শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘প্রথমদিন (১ নভেম্বর দিবাগত রাতে) হ্যালোইন পার্টিতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমার গাড়ি গায়েব। পরদিন আমার বাসা থেকে স্ত্রী সন্তান গায়েব। আমাকেও গায়েব করে দিতে চেয়েছিল। পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে বললো আমার গাড়িতে নাকি গুলি মাদক পেয়েছে। সেই গাড়িতে নাকি আমার স্ত্রী ও সন্তান ছিল। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সিসিটিভি ফুটেজে এর স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।’

‘আমাকে ফাঁসানোর জন্য দুই জায়গায় বেআইনিভাবে অভিযান চালিয়ে আমার গাড়ি এবং স্ত্রী সন্তানকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। গাড়িটা রাত ১টা থেকে দেড়টার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এসপি হারুন নিজে সেখানে গিয়েছিলেন। ক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ক্লাবের সভাপতি তাকে অ্যালাউ করেননি। আমার বাসাতেও তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন’—বলেন শওকত আজিজ।

একইসঙ্গে তিনি বলেন, গাড়িতে থাকা আমার ল্যাপটপ, আইপ্যাড, চারটা মোবাইল ফোন সিজার লিস্টে দেখানো হয়নি। উল্টো গুলি মাদক পাওয়া গেছে বলছে। এসব অবৈধ জিনিস আমার নয়। অন্য কোথাও থেকে এনে আমার গাড়িতে রাখা হয়েছে, যাতে আমাকে ফাঁসানো যায়।

এদিকে, অভিযোগ পাওয়া গেছে, পরপর দু’দিন নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অভিযান চালানোর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কাউকে কিছু জানাননি এসপি হারুন। নিয়ম অনুযায়ী, জেলা পুলিশের কোনও টিম ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অভিযান চালালে বা কাউকে আটক করতে হলে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করতে হয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ এসপি হারুনের নেতৃত্বে শওকত আজিজের বাসায় যে অভিযান পরিচালনা করা হয়, সে সম্পর্কে গুলশান থানা পুলিশকে জানানো হয়নি।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের কোনও অভিযান সম্পর্কে আমরা অবগত নই। কারও পক্ষ থেকে আমাদের এই অভিযান সম্পর্কে জানানো হয়নি।

এদিকে, ২ নভেম্বরের সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ গাড়িসহ শওকত আজিজের স্ত্রী ও সন্তানকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় চৌরঙ্গি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে জব্দ করা হয় বলে দাবি করলেও আজ ৪ নভেম্বর এসে বক্তব্য পাল্টেছেন তিনি।

সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে শওকত আজিজের গাড়ি এবং স্ত্রী-সন্তানকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘উনার নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা রয়েছে। সে কারণে পুলিশ তার বাড়িতে যায় তাকে গ্রেফতার করার জন্য। তাকে পায় নাই। ছেলেকে পাওয়া যায়। তার বয়স পঁচিশ বছর। তার কাছে বাবার সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হলে সে জানায় তার কাছে কোনও তথ্য নেই। তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তোমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তুমি আমাদের সঙ্গে আসো। তখন তার স্ত্রী বলে, আমিও যেতে চাই। তখন তার স্ত্রীকেও নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

গাড়িতে গুলি ও মাদক পাওয়ার বিষয়ে হারুন অর রশীদের ভাষ্য, তার গাড়িতে কী ছিল না ছিল তা তার চালকের বক্তব্যেই জানতে পারবেন। চালক বলেছে, এগুলো আমার নয়, এগুলো আমার মালিকের। আমার মালিক মদ খায়, গুলিগুলো আমার মালিকের।

তিনি আরও দাবি করেন, জব্দ করা গাড়ি থেকে বের হয়ে আমার কনস্টেবলের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়েছিল। সেজন্য তার গাড়িটি খোঁজা হচ্ছিল।

এসপি হারুনের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ সুরাহা হয়নি

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার আগেও গাজীপুরের পুলিশ সুপার থাকা অবস্থায় আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেলের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। দাবিকৃত টাকা না দেওয়া হলে আম্বার গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেফতার, হেনস্তা, ব্যবসায়িক ক্ষতিসহ এসব প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এসপি হারুন।

পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি ও হুমকির বিষয়ে ২০১৬ সালের ৫ মে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, দুদক চেয়ারম্যান, ডিজিএফআই মহাপরিচালক, এনএসআই মহাপরিচালক, র‌্যাবের মহাপরিচালক ও বিজিএমইএ সভাপতির কাছে অভিযোগ করা হয় ।

গত ৫ মে হারুনের বিরুদ্ধে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শওকত আজিজ রাসেল। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৩ মে এসপি হারুনের পক্ষ থেকে এসআই আজাহারুল ইসলাম আম্বার ডেনিমের স্টোর ম্যানেজার ইয়াহিয়া বাবুর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বলেন, ‘এসপি হারুন সাহেব এইমাত্র আমাকে ফোন করেছেন। উনি বলেছেন, রাসেলের (চেয়ারম্যান, আম্বার গ্রুপ) লোকজনকে ডাকাও। আমার টাকা লাগবে। তাড়াতাড়ি ৫ কোটি টাকা পাঠাও।’

আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেল অভিযোগে আরও বলেন, ‘এর আগেও এসপি হারুন আমাকে গুলশান ক্লাবের লামডা হলে ও গুলশানের কাবাব ফ্যাক্টরি রেস্তোরাঁয় ডেকে নিয়ে দুইবারই আমার কাছে ৫ কোটি টাকা দাবি করেন। ওই টাকা ডলারে আমেরিকায় এসপি হারুনের নির্ধারিত ঠিকানায় পাঠাতে বলেন। সে সময় টাকা না পাঠালে তিনি গাজীপুরে আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান আম্বার ডেনিম ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন। ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমার কোম্পানি আম্বার ডেনিম ফ্যাক্টরির ৪ জন শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গভীর রাতে গাজীপুর থানায় ধরে নিয়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠান এসপি হারুন।’

অজ্ঞাত কারণে সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেমে আছে বলে জানান আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেল। তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালের বিভিন্ন দফতরে দেওয়া অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছিল। তা পরবর্তী আবার বন্ধও হয়ে যায়। আমরা জেনেছি, পুলিশ বাহিনীতে উনার অনেক ক্ষমতা। সেই ক্ষমতার জোরে তিনি অনেক কিছুই করতে পারেন।’

 

 

আরো জানতে…

বিতর্কিত এসপি হারুনকে সরানোর নেপথ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের এসপি হারুনকে বদলি

 

 

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button