পুলিশের সাফল্যে: কালীগঞ্জে ডাকাতি করে পালিয়েও রক্ষা হলনা ৮ ডাকাতের

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : একদল ডাকাত সড়কের গাছ কেটে ফেলে বিভিন্ন গাড়ীর গতিরোধ করে গাড়ীতে ভাংচুর চালিয়ে গাড়ীর চালক ও যাত্রীদের জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করার সময় এক যাত্রী ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা ওই ডাকাত দলের সাত সদস্য ও এক সহযোগীসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত ৩০ নভেম্বর দিবাগত রাতে কালীগঞ্জের বাঘারপাড়া এলাকায় কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছিল।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ দত্ত সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের কাছ থেকে নগদ ৫ হাজার ৬৫৫ টাকা, ১২টি মোবাইল সেট, একটি দা ও চাপাতি, পাঁটি লাঠি ও একটি রশি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার পান্ডরাইল গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে সবুজ মিয়া (৪৫), ময়মনসিংহের দুবাউড়া থানার গোস্তাবহলী গ্রামের ফজর আলীর ছেলে সুমন মিয়া ((২৮), একই জেলার গৌরিপুর থানার পাঁচকাহানিয়া গ্রামের হারুন-অর-রশিদের ছেলে শামীম (২০), বি-বাড়ীয়া বিজয়নগর থানার চাঁনপুর গ্রামের আবু জাহেদের ছেলে এমদাদুল হক মিলন (২৭), একই জেলার নাসিরনগর থানার তারাউল্লাহ গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে শিপন (২৪), বি-বাড়ীয়া সদর থানার শিলাউর গ্রামের আবিদ মিয়ার ছেলে আজিজুল ইসলাম (২০), সুনামগঞ্জের দুয়ারা বাজার থানার রামপুর গ্রামের জুনাব আলী মিয়ার ছেলে বশির আহমেদ (৩৫) ও চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার ভাটিয়ানপুর গ্রামের মাসুদুর রহমানের ছেলে তানভীর (২১)।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ দত্ত আরো জানান, গত ৩০ নভেম্বর দিবাগত রাতে কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কে বাঘারপাড়া নামকস্থানে একটি প্রাইভেটকারের সামনে গাছ কেটে ফেলে গতিরোধ করা হয়। এ সময় ওই ডাকাত দল প্রাইভেটকারের মালিক ডাঃ আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও চারটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে আরেকটি যাত্রীবাহী বাসের গতিরোধ করলে এক যাত্রী ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে ওই ঘটনায় পরদিন সকালে (১ ডিসেম্বর) ডাঃ আসাদুজ্জামান কালীগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতি মামলা (নং ২) দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মিজানুল হকের নেতৃত্বে ২ দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে টঙ্গী, ঢাকা, বি-বাড়ীয়া ও নরসিংদী থেকে ওই ডাকাতির সাথে সরাসরি জড়িত ৭ জন এবং এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করাা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল সেট, দেশী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

বুধবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button