দুশ্চিন্তা দূর করতে কী করবেন?
লাইফস্টাইল ডেস্ক : দুশ্চিন্তা অথবা অস্থিরতা অনুভব করা আজকাল একটি সাধারণ ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। প্রত্যেক মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় এ অবস্থার মধ্য দিয়ে যান। দুশ্চিন্তা একজন মানুষকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিছু উপায় বা কৌশল রয়েছে যেগুলো দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে এবং মনকে স্থির রাখে।
মেডিটেশন : মেডিটেশন করলে মন প্রশান্ত থাকে। খুব সহজেই আপনি মেডিটেশন অনুশীলন করতে পারেন। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশন গাইড পাওয়া যায়। কয়েকটি পদ্ধতি ডাউনলোড করে অনুশীলন শুরু করে দিন।
সৃজনশীল কাজ : সময় পেলেই কোনো সৃজনশীল কাজে মনোযোগ দিন। আঁকাআঁকি করা বা কোনো কিছু নিয়ে খেয়ালিপনা করে সময় নষ্ট করলে মানসিক চাপ কমে যায়। এ ক্ষেত্রে কালারিং থেরাপি আজকাল বেশি জনপ্রিয়। এ ছাড়া বইয়ে রং করাও সম্প্রতি মানসিক চাপ কমানোর ক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
হাঁটতে যাওয়া : দুশ্চিন্তা দূর করার চমৎকার উপায় হলো হাঁটাহাঁটি করা। চারপাশের কোলাহল আর শীতল বাতাসের পরশ দুশ্চিন্তা ভুলিয়ে দেবে।
গান শোনা : গান শুনলে দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকা যায়। গান মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ভালো কোনো গান শুনুন, অন্যরকম অনুভূতি কাজ করবে।
প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো : সব সময়ই প্রিয়জনদের সঙ্গে থাকতে হবে এমন নয়। ভালো কিছু সময় পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কাটাতে পারেন।
দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করবে। সবাই মিলে বাইরে খেতে যাওয়া বা কিছু সময় বাড়িতে একসঙ্গে কাটানো, এগুলো সহজাতভাবে মানসিক চাপ কমায়।
ফোন দূরে রাখুন : সব জায়গায় ফোন নিয়ে যেতে হবে এমন নয়। বাথরুমে যাওয়া বা হাঁটতে গেলে ফোন রুমে রেখে যান। এমনকি খাওয়ার সময়ও ফোন নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনো মানে হয় না। কোনো কিছু না ভেবে বসে খাওয়া সেরে ফেলুন।
গৃহস্থালির কাজ করা : মানসিক চাপমুক্ত থাকার ভালো উপায় হচ্ছে গৃহস্থালির টুকিটাকি কাজ করা। মানসিক প্রশান্তির জন্য ঘরের বিভিন্ন ধরনের টুকিটাকি কাজ করুন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকা : সব সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার প্রয়োজন নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দুশ্চিন্তা বাড়ানোর জন্য কিছুটা দায়ী। এটি আপনার সৃজনশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিছু সময়ের জন্য হলেও এগুলো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।