আলোচিত এসপি হারুন ‘ফের’ ডিএমপিতে

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে ‘ফের’ ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) বদলি করা হয়েছে।

গত বছরের ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ট্রিনিং রিজার্ভ (টিআর) হিসেবে বদলি করা হয়েছিল হারুন অর রশীদকে।

বৃহস্পতিবার একজন ডিআইজিসহ মোট পাঁচ কর্মকর্তার যে বদলির আদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিয়েছিল সেখানে হারুন অর রশীদের নামও রয়েছে।

ডিএমপিতে তাকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার।

তবে ডিএমপিতে ৪২টি উপ-কমিশনারের পদ রয়েছে। এ বছরের মার্চে আরও ১৫টি পদ সৃষ্ট হয়ে এখন পদ সংখ্যা ৫৭টি।

হারুন অর রশীদ আগেও ঢাকা মহানগর পুলিশে ছিলেন। তিনি ডিএমপির অপরাধ বিভাগের লালবাগের উপ-কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও তেজগাঁও বিভাগেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

ঢাকা মহানগরে কাজ করার সময় বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুকের উপর হামলার ঘটনায় আলোচিত হন তিনি।

এরপর কয়েক বছর গাজীপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ।

২০১৮ সালের মে মাসে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় বিএনপি তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিল। এরপর ওই বছরের অগাস্টের শুরুতে তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশে বদলী করা হয়।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েকদিন আগে একই বছরের ২ ডিসেম্বর হারুন অর রশীদকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।

নারায়ণগঞ্জে ১১ মাসের দায়িত্বে সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ ঘোষণা করেন হারুন। হকার ও অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ বেশ কিছু পদক্ষেপে তিনি যেমন প্রশংসিত হন, তেমনি নারায়ণগঞ্জের অনেক প্রভাবশালীর সঙ্গে টক্করে গিয়ে তিনি নতুন নতুন আলোচনার জন্ম দেন।

এই প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সড়কে এসপি হারুনের ছবিসহ ব্যানার দেখা যায়, যেখানে তাকে বলিউডি সিনেমার নায়কের সঙ্গে তুলনা করে বলা হয় ‘বাংলার সিংহাম’।

গেল বছরের নভেম্বরের শুরুতে এক ঘটনায় হঠাৎ করেই এসপি হারুন অর রশীদের বদলির আদেশ আসে। নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে তাকে পাঠানো হয় পুলিশ সদর দপ্তরে।

গত ২ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে এসপি হারুন অর রশীদ পারটেক্স গ্রুপের কর্ণধার এম এ হাশেমের ছেলে আমবার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজের স্ত্রী ও সন্তানকে আগের ভোররাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আটকের কথা জানান। তিনি দাবি করেছিলেন, তাদের গাড়ি থেকে ইয়াবা, মদ ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে অভিযোগ আসে, চাঁদা না পেয়ে শওকত আজিজের স্ত্রী-সন্তানকে ঢাকার গুলশানের বাসা থেকে ধরে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে গিয়েছিলেন এসপি হারুন অর রশীদ।

ইন্টারনেটে এর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ৩ নভেম্বর হারুনের বদলির আদেশ আসে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত হবে বলেও ওই জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

 

সূত্র: বিডিনিউজ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button