হেফাজতে রেখে নির্যাতন: শেষ পর্যন্ত নিজের বিরুদ্ধে মামলা নিতে বাধ্য হলেন ওসি

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : হেফাজতে রেখে মারপিট এবং পায়ুপথে মরিচের গুঁড়া দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে অবশেষে আদালতের নির্দেশে নিজের বিরুদ্ধেই মামলা নিতে বাধ্য হলেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান।

কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফাকে থানা হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতের নির্দেশে এ মামলা দায়ের হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিয়াজুরী সার্কেল ও কেন্দুয়া সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল উদ্দিন জানান, নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, অন্যায় আটক করে খুনের উদ্দেশ্যে সাধারণ ও গুরুতর জখম, মানহানি এবং হেফাজতে নির্যাতন করার অপরাধ অভিযোগে গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে নেত্রকোনার কেন্দুয়া আমলি আদালতে মামলা করেন।

আদালতের বিচারকের নির্দেশে মঙ্গলবার কেন্দুয়া থানায় মামলাটি দায়ের হয় (মামলা নং-০৯ তারিখ-৮/৯/২০২০)।

মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ওসি রাশেদুজ্জামানের বিভিন্ন অপকর্ম ও দুর্নীতির বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করায় তিনি মামলার বাদী গোলাম মোস্তফাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এর জেরে গত ৪ জুন রাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ওসি একটি সালিশে ঢুকে গোলাম মোস্তফাকে আটক করেন।

পরে সালিশস্থলে কিছু তাস ছড়িয়ে ছিটিয়ে জুয়া খেলার ছবি তুলে ঘটনাস্থলে থাকা ৮ জনকে থানায় নিয়ে যান ওসি। ওসি সেদিন রাতে গোলাম মোস্তফাকে হেফাজতে রেখে মারপিট এবং পায়ুপথে মরিচের গুঁড়া দিয়ে নির্যাতন করে।

পরবর্তীতে জুয়া আইনে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন যুবলীগের ওই নেতা। করোনাভাইরাসের কারণে আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তখন মামলা করতে না পারার কথা আদালতকে জানান মামলার বাদী।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও খালিয়াজুরী সার্কেল এবং কেন্দুয়া সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল উদ্দিন বলেন, মামলার তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। নিরপেক্ষতা এবং দক্ষতার সঙ্গে মামলার তদন্ত সম্পন্ন করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button