সরকারি কর্মচারীদের ‘এসিআরে’ পরিবর্তন আসছে
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নবম গ্রেড থেকে শুরু করে ওপরের সরকারি কর্মচারীদের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে (এসিআর) পরিবর্তন আসছে। সততা, নৈতিকতা, ই-নথি ও ইন্টারনেট ব্যবহার এবং উদ্ভাবনী সক্ষমতা মূল্যায়নে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নতুন ‘গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা ২০২০’ জারি করা হয়েছে।
এতে এসিআর ফরমে (বাংলাদেশ ফরম নং ২৯০-ঘ) সংশ্লিষ্ট বিষয় পরিবর্তন এনে সংশোধন করা হয়েছে। বিদ্যমান সাধু ভাষার পরিবর্তে ফর্মে চলিত ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
পূর্বের অনুশাসনমালায় (২০১২) নবম তদুর্ধ গ্রেডে কর্মরতদের ‘কর্মকর্তা’ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও নতুন অনুশাসনমালায় সবাইকে ‘কর্মচারী’ বলা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে অনুশাসনমালাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে এসব গ্রেডের কর্মচারীদের-২০২০ সালের এসিআর নতুন ফরম এই সম্পাদিত হবে।
এসিআর অনুষ্ঠানমালার আদেশ অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের পূর্ববর্তী বছরের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন নতুন বছরের দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হয়।
এসিআর ফর্মের মূল্যায়ন অংশে ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য ১৩টি মূল্যায়ন ক্ষেত্রের মধ্যে ফর্মে ‘বুদ্ধিমত্তা ও নিরাপত্তা সচেতনতার’ বিষয়টি বাদ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন করে ‘সততা ও নৈতিকতা’ মূল্যায়নের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়া বিদ্যমান আগ্রহ অংশে ‘আগ্রহ ও মনোযোগ’, ‘ব্যবস্থা গ্রহণ ও আদেশ পালনে তৎপরতার’ পরিবর্তে ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালনে তৎপরতা’ এবং ‘জনসাধারণের সহিত ব্যবহারের’ পরিবর্তে ‘সেবাগ্রহীতার সঙ্গে ব্যবহার’ সংযুক্ত করা হয়েছে।
ফরমের কার্যসম্পাদন অংশ থেকে ‘সহকর্মীদের সহিত সম্পর্ক’, ‘অধীনস্তদের প্রশিক্ষণ দানে আগ্রহ ও ‘দক্ষতা’, ‘বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন লিখন প্রতিস্বাক্ষরকরণে তৎপরতা’- এই তিনটি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বাদ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন করে ‘ই-নথি ও ইন্টারনেট ব্যবহারে আগ্রহ ও দক্ষতা’, ‘উদ্ভাবনী কাজে আগ্রহ এবং দলগত কাজে সহযোগিতা’ এবং ‘নেতৃত্ব দানে সক্ষমতা’ নতুন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
ফরমে অনুবেদনকারী এবং অনুবেদন প্রতিস্বাক্ষরকারীর সুপারিশ অংশেও পরিবর্তন এসেছে।