সাবেক মেয়র খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা: প্রত্যাহারের আবেদন মেয়র তাপসের!
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান এবং সাবেক মেয়রদের ঝগড়া এখন জাতীয় কৌতুকের বিষয় হয়ে উঠেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং প্রধানমন্ত্রীর নিকট আত্মীয় শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার পদত্যাগও দাবি করেছেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন।
গত শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীতে এক মানববন্ধনে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন দাবি করেন তার উত্তরসূরী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন ।
ওদিকে সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কমলাপুর টিটিপাড়া এলাকার কালভার্ট এর ময়লা ও বর্জ্য অপসারণ কাজ পরিদর্শন শেষে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বক্তব্য ব্যক্তিগত আক্রোশের প্রতিফলন। সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা হবে।
একই দিন (সোমবার) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে মানহানির বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের নামে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। একটি মামলার বাদী কাজী আনিসুর রহমান, অপর মামলার বাদী অ্যাডভোকেট মো. সারওয়ার আলম।
তবে বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে দায়ের করামামলা দু’টি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘ব্যক্তিগত আক্রোশে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের নানা অভিযোগ ও বিরূপ মন্তব্য মানুষের কাছে হাস্যরসে পরিণত হয়েছে। যে দুটি মামলা হয়েছে, সেই দুটি মামলার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দুজন আইনজীবী অতি উৎসাহী হয়ে এই মামলা করেছেন, আমি তাদের অনুরোধ করব মামলা দুটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে সাঈদ খোকন বলেন, দক্ষিণ সিটির বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস তার পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। মেয়র তাপস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। আমি তাকে বলব, রাঘব-বোয়ালদের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। তারপর চুনোপুঁটির দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
সাবেক মেয়র আরও বলেছেন, ফজলে নূর তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে হস্তান্তরিত করেছেন এবং এ শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসাবে গ্রহণ করেছেন এবং করছেন।