বেক্সিমকোর টঙ্গীর ওয়্যারহাউজে রাখা হবে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের প্রথম চালান আসবে সোমবার (২৫ জানুয়ারি)। এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছাবে।

এয়ারপোর্ট থেকে ভ্যাকসিনগুলো বেক্সিমকোর টঙ্গীর ওয়্যারহাউজে নেওয়া হবে।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) রাতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন রাজধানীর গুলশানে তার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রথম লটের ভ্যাকসিন যেহেতু আসছে, আমি নিজেই যাবো এয়ারপোর্টে রিসিভ করতে। ভারতের মুম্বাই থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট সকাল ৮টায় রওনা হবে। আমাদের এখানে সাড়ে ১১টায় পৌঁছাবে। এই (সেরামের করোনা) ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য নতুন করে বিশেষভাবে এই ওয়্যারহাউজ তৈরি করা হয়েছে। পরিবহনের জন্য গাড়িও কেনা হয়েছে। ‘

তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিন হাউজে স্টোর করার পর সেটার প্রত্যেকটি ব্যাচের ড্রাগ টেস্ট হবে। ড্রাগ টেস্টের ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর সরকার যেভাবে বলবে, আমরা সেভাবেই ৬৪ জেলায় বিতরণ শুরু করবো। সরকার বলার পর ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনের কাছে আমরা ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবো। ‘

এসময় তিনি বলেন, ‘যে কোনো ভ্যাকসিন আমদানীর ক্ষেত্রে আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান ২০ শতাংশ কমিশন পায়। করোনার টিকার ক্ষেত্রে আমরাও এক ডলারের মতো পাবো। তবে সরকারের যে শর্ত তা পালন করতে গেলে আমাদের লসও হতে পারে। এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা অনেককে বলেছি কিন্তু কেউ রাজি হয়নি। এখানে একটি মেজর বিষয় হচ্ছে- সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে শুরু করে এয়ারপোর্ট, তারপর আমাদের ওয়্যারহাউজ, সেখান থেকে সিভিল সার্জনের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত কোথাও কোল্ড চেইন ব্রেক হয়েছে কিনা, সেটি আমাদের প্রমাণ করতে হবে। তাছাড়া কোনা ডোজ ফাঁকা কিংবা ভাঙা আছে কিনা সেগুলো পরীক্ষা করতে হবে। এই নষ্টগুলো সরকার নেবে না। ‘

নাজমুল হাসান পাপন বলেন, বেক্সিমকো টিকা দেশে উৎপাদনে যাবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত জুন-জুলাইয়ের পরে নেওয়া হবে। কারণ তখন আরো কয়েকটি ভ্যাকসিন এসে যাবে। তখন সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।

নিজে টিকা নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই অক্সফোর্ডের টিকা নেব। টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলে তার চার-পাঁচ দিন পর। ‘

গত ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের বিষয়ে চুক্তি হয়। সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে তিন কোটি ভ্যাকসিন পাবে। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি দেশে আসে ভারত সরকারের উপহার দেওয়া ২০ লাখ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। সেরাম থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড নামের এই ভ্যাকসিন দেশে সরবরাহ করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button