কাপাসিয়ার যুবলীগ নেতা জালাল হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : দেড় যুগ আগে কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা জালাল উদ্দিন সরকার হত্যা মামলায় ১১ আসামির মধ্যে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। পাঁচ আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে এ রায় দেওয়া হলো।

হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা পাঁচ আসামি হলেন কাপাসিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবদুল আলীম, যুবদলের কর্মী জজ মিয়া, আল আমিন, ছাত্রদলের কর্মী বেলায়েত হোসেন ও ফারুক হোসেন।

হাইকোর্টে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হালিম ফকির, যুবদলের কর্মী মাহবুবুর রহমান ও আতাউর রহমান, ছাত্রদলের কর্মী ফরহাদ হোসেন ও কাপাসিয়া কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক জুয়েল।

হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেয়েছেন যুবদলের কর্মী জয়নাল আবেদিন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান ও সারোয়ার আহমেদ।

পরে বশির আহমেদ রায়ের বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ১১ জনের মধ্যে ৬ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০০৩ সালের ১৭ আগস্ট কাপাসিয়া উপজেলার বলখেলা বাজারের পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জালালকে গুরুতর জখম করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় জালালের বড় ভাই মিলন সরকার বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় ১১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

২০০৪ সালের ২৩ জানুয়ারি তদন্ত শেষে ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

২২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ নম্বর আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। বিচারিক আদালতের রায়ে ১১ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

 

সূত্র: প্রথম আলো

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button