পেগাসাস আছে বলে মানুষ রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারে: ইজরায়েল
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : গোয়েন্দা ও আইনি সংস্থাগুলির কাছে পেগাসাস প্রযুক্তি থাকায় বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষ নিরাপদে রাস্তায় হাঁটতে পারে এবং শান্তিতে ঘুমোতে পারে রাতে। নজরজারি সফটওয়্যার নিয়ে বিতর্কের মাঝে এমন দাবি করল ইজরায়েলি সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসও)।
ইজরায়েলি সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা জানাল, পেগাসাস ব্যবহার করে না তারা। এটি ব্যবহার করে যে তথ্য গ্রাহকরা সংগ্রহ করে তা-ও থাকে না।
বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক নেতা থেকে অনেকের মোবাইলে পেগাসাস ব্যবহার করে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে। পেগাসাসের নির্মাতা ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন দেশের সরকার ওই স্পাইওয়্যারটি কেনে। এনএসও-র মুখপাত্র জানান, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ ও শিশুপাচারের মতো ঘটনা রুখতে পেগাসাস ও এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যহার করে গোয়েন্দা ও আইনি সংস্থাগুলি। তার ফলে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারে। এবং নিরাপদে রাস্তায় হাঁটে। নেটমাধ্যমের উপরে নজরদারি করার কোনও ব্যবস্থা নেই। সরকার ও আইনি সংস্থাগুলি অন্ধকারে থাকে। সেই ব্যবস্থা সরবরাহ করে এনএসও ও অন্যান্য সাইবার নিরাপত্তা প্রযুক্তি। বিশ্বকে সুরক্ষিত রাখতে নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে সংস্থা। পেগাসাস-বিতর্কে তাদের দাবি, প্রযুক্তি অপারেটের দায়িত্বে থাকে না এনএসও। সংগৃহীত তথ্যও থাকে না।
পেগাসাস ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের বিরোধী দলের নেতা-নেত্রী, সাংবাদিকদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে। সেই ২০১৯ সালে অক্টোবরে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে লিখিতভাবে এনএসও জানিয়েছিল, ‘সন্ত্রাসবাদ বা অপরাধ দমন ছাড়া অন্য কোনও কারণে পেগাসাস ব্যবহার করা হলে তা চুক্তিবিরোধী। সেক্ষেত্রে আমরা পদক্ষেপ করি। মানবাধিকার নিশ্চিত করতেই এই প্রযুক্তি। মানুষের মৌলিক অধিকারের সম্মান রক্ষার্থে সংস্থা দায়বদ্ধ।’
তারা বলেছে,’মানুষের সুরক্ষার জন্য এজেন্সিকে দেওয়া হয়। আমরা গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করি না।’ বিতর্কের জেরে লাইসেন্স যাচাই করার ইঙ্গিত দিয়েছে এনএসও।