প্রশ্নবিদ্ধ ইউপি নির্বাচন: ছয় মাসের জন্য ফলাফল ও শপথ স্থগিত
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান খন্দকার শাহিনুজ্জামানের চেয়ারম্যানি পদ এবং শপথও স্থগিত করা হয়েছে।
ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের একটি অনুলিপি ইতিমধ্যে সালথা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তেলায়েত হোসেন হাতে পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
সালথা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ২২ ডিসেম্বর বিকালে ফরিদপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে হাইকোর্টের আদেশের কারণে বল্লভদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শপথ গ্রহণ স্থগিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ ইউনিয়নের নির্বাচনী ফলাফল শুরু থেকেই প্রশ্নবৃদ্ধ থাকায় এনিয়ে শুরু হয় নানান চাঞ্চল্য। হাইকোর্ট বিভাগে রিট করেন বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। রিটের পর্যালোচনা করে বিচারপতি মামুনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ৬ ডিসেম্বর নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন।
পাশাপাশি বল্লভদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ফলাফল কেন বাতিল করা হবেনা মর্মে রিটার্নিং অফিসারকে পত্র পাবার ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে বিনা ব্যর্থতায় জবাব দেয়ার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আদেশে আরে বলা হয়েছে বল্লভদী ইউনিয়নের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান পদে ৬ মাসের স্থগিত থাকায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ব্যতিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে।
জানাযায়, ১১ নভেম্বর সালথা উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত ৫ জন প্রার্থী ও স্বতন্ত্র ৩ জন প্রার্থী বে-সরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বল্লভদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম সবগুলো কেন্দ্রে ভোট বেশি পেয়ে একে একে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই বিজয় সুনিশ্চিত হওয়ায় সালথা কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালন করা ওবায়দুর রহমানের অধীনস্ত নবকাম কলেজের শিক্ষকগন বল্লভদী ইউনিয়নের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা ৭টি কেন্দ্রে ফলাফল দিতে বিলম্ব করে। যারা সবাই একই ইউনিয়নের সতন্ত্র চেয়ারম্যান (আনারশ) প্রার্থী শাহিনের সমর্থক ওবায়দুর রহমানের সহযোগি হিসাবে কাজ করেছে এবং ফলাফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে ফলাফল ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই সালথা কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালন করা অফিসার ওবায়দুর রহমান ফেসবুক লাইভে এসে স্বীকার করেন তিনি ৮ নং বল্লভদী ইউনিয়নে সতন্ত্র প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করেছে। এতে বল্লভদী ইউনিয়নের জনগনের মনে ক্ষোভ দেখা দেয় এবং বিষয়টি প্রশ্নবৃদ্ধ হয়।