পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার!
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার অভ্যন্তরে অবস্থিত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের দোতলা থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, রোববার (২৩ জানুয়ারি) রাতে রংপুর নগরীর সাহেবগঞ্জ এলাকায় এক তরুণীকে ঘোরাফেরা করতে দেখে পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। পরে হারাগাছ থানা পুলিশ তরুণীকে উদ্ধার করে রংপুর কোতোয়ালি থানায় অবস্থিত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠায়। সেখানে অবস্থানকালে রোববার রাতে কোনও এক সময় সিলিংয়ের এর সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যা করে ওই তরুণী।
খবর পেয়ে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি থানাকে অবহিত করে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তরুণীর লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
মৃত তরুণীর নাম রুহি আক্তার রুহি। তার বাবার নাম সেকেন্দার আলী, মা মোসলেমা। বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুণ্ডু এলাকায়।
পুলিশ জানায়, মৃত রুহি আক্তারের সঙ্গে রংপুরের আকাশ নামে এক যুবকের মোবাইলফোনে পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিক আকাশ তাকে শনিবার রংপুরে আসতে বলে। তরুণী রুহি আক্তার ফোন পেয়ে ঝিনাইদহ থেকে রংপুরে আসেন। রংপুর নগরীর সাহেবগঞ্জ এলাকায় পৌঁছে আকাশের মোবাইলফোনে কল দিয়েও যোগাযোগ করতে পারেনি সে। পরে রুহি ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করতে থাকেন। এ অবস্থায় শনিবার রাতে এলাকাবাসী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে হারাগাছ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রুহিকে উদ্ধার করে থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠায়। সেখানে দুই রাত অবস্থানের দ্বিতীয় দিন রোববার রাতে সিলিংয়ে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রুহি।
সত্যতা নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড মিডিয়া) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রুহি আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের খবর পাঠানো হয়েছে। তারা এলে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।