কৃষ্ণসাগরে ডুবে গেল রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বুধবার বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া তাদের রণতরীটি টেনে বন্দরে নেয়ার সময় ডুবে গেছে।

কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার এই ফ্লাগশীপ জাহাজটিকে বন্দরের দিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছিলো। কিন্তু সাগর উত্তাল হওয়ায় সেটি ডুবে যায় বলে মন্ত্রণালয়ের বার্তায় বলা হয়েছে।

রাশিয়ার সামরিক শক্তির প্রতীক ৫১০ ক্রুসহ মিসাইলবাহী এ রণতরীটির নাম মস্কভা এবং এটি ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের নৌ বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলো।

তবে কিয়েভ দাবি করেছে যে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র রণতরীটিতে আঘাত করেছে। তবে মস্কো কোন হামলার কথা বলেনি। তারা বলছে আগুণ লাগার পর নৌযানটি ডুবে যায়।

আগুনের কারণে জাহাজটিতে রাখা গোলাবারুদ বিস্ফোরিত হতে থাকে এবং এরপর সব ক্রুকে নামিয়ে আনা হয় বলে রাশিয়া জানিয়েছে।

মস্কভা কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ান নৌবহরের এক ফ্ল্যাগশীপ জাহাজ। ফ্ল্যাগশীপ জাহাজ হচ্ছে কোন নৌবহরের নেতৃত্বদানকারী জাহাজ যেটি অধিনায়ক ব্যবহার করেন।

নৌবহরের অন্যান্য জাহাজের তুলনায় ফ্ল্যাগশীপ জাহাজ সাধারণত খুবই দ্রুতগামী এবং শক্তিশালী হয়।

ক্রুজার মস্কভা ২০০০ সাল থেকে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল।

১৯৮০ দশকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ইউক্রেনের এক ডক ইয়ার্ডে জাহাজটি নির্মাণ করা হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস বলেছে, টেনে গন্তব্যে নেয়ার সময় জাহাজটি তার ভারসাম্য হারায়।

ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের বাহিনীর ছোঁড়া দুটি নেপচুন মিসাইল মস্কভার ওপর আঘাত হেনেছে।

মস্কভা জাহাজ নিয়ে আলোচনা ছিল ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে।

সে সময় একটি দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডে এই জাহাজ গিয়ে সেখানে মোতায়েন সব ইউক্রেনীয় সৈন্যকে আত্মসমর্পণ করার জন হুমকি দেয়।

সিরিয়া যুদ্ধের সময়ও রাশিয়া এই মস্কভা জাহাজটি সিরিয়ান সেনাদের নৌ সুরক্ষার কাজে ব্যবহার করেছে।

এতে জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল এবং সাবমেরিন ও টর্পেডো বিধ্বংসী অস্ত্র ছিলো।

তবে জাহাজটিতে হামলার ইউক্রেনীয় দাবি যদি ঠিক হয় তাহলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১,২৪৯০ টনের মস্কভাই হলো সবচেয়ে বড় রণতরী ডুবে যাওয়ার ঘটনা।

এর আগে মার্চে রাশিয়া আরেকটি জাহাজ হারিয়েছিলো ইউক্রেনের হামলায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button